[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ঝিনাইদহে ঠিকাদারি কাজের বিল নিতে এসে মারধরের শিকার আওয়ামী লীগ নেতা

প্রকাশঃ
অ+ অ-
ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ নেতার ভাঙচুর করা প্রাইভেট কার। এলজিইডি কার্যালয়ের সামনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

ঝিনাইদহে এলজিইডি কার্যালয়ে ঠিকাদারি কাজের বিল নিতে গিয়ে শামিম হোসেন মোল্লা নামে আওয়ামী লীগের এক নেতা মারধরের শিকার হয়েছেন। বুধবার দুপুর একটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় তার প্রাইভেট কারও ভাঙচুর করা হয়।

শামিম হোসেন শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তিনি সদর থানার হেফাজতে আছেন।

শামিম হোসেন মোল্লার বাড়ি শৈলকুপা উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামে। তিনি শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তার বাবা সাব্দার হোসেন মোল্লা উমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

জেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শামিম হোসেন মোল্লা এলজিইডির ঠিকাদার এবং কয়েক বছর আগে শেষ করা কাজের বিল এখনো পাওনা রয়েছে। বুধবার দুপুরে তিনি সেই বিল নিতে এলজিইডি কার্যালয়ে আসেন। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন। পরে ১০–১৫ জন জড়ো হয়ে শামিম হোসেনকে মারধর করেন এবং তার গাড়ি ভাঙচুর করেন।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ শামিম হোসেনকে উদ্ধার করেছে। বর্তমানে তিনি সদর থানার হেফাজতে আছেন। তাঁর নামে থানায় কোনো মামলা নেই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলার সাবেক আহ্বায়ক আবু হুরায়রা সাংবাদিকদের বলেন, শামিম মোল্লা শৈলকুপায় ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করে অনেক মিছিল ও সভা করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সময়ে প্রভাব খাটিয়ে নিজে কাজ করতেন এবং অন্য কাউকে কাজ করতে দিতেন না। বুধবার দুপুরে এলজিইডি কার্যালয়ে গিয়ে তিনি তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ক্ষুব্ধ জনতা তাকে মারধর করে এবং শৈলকুপার কিছু লোক আগের ক্ষোভ থেকে তার গাড়ি ভাঙচুর করে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন