[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

জলবায়ু তহবিলে ১৪ বছরে ২১১০ কোটি টাকার দুর্নীতি

প্রকাশঃ
অ+ অ-
‘বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে কথা বলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

নিজস্ব তহবিল থেকে জলবায়ুর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সরকারের গঠিত বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টের (বিসিসিটি) ৮৯১টি প্রকল্পে ২ হাজার ১১০ কোটি টাকার দুর্নীতির তথ্য পেয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তাদের হিসাব অনুযায়ী, বিসিসিটি প্রকল্পের ৫৪ শতাংশের বেশি অর্থ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ হয়েছে।

মঙ্গলবার ধানমন্ডির টিআইবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্প অনুমোদনে ঘুষ ও অবৈধ লেনদেনে ১৭৫ কোটি টাকা, ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মে ৬০০ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়ন পর্যায়ে ১ হাজার ২৮০ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। তদারকি পর্যায়েও ৫৪ কোটি টাকার ঘুষ লেনদেন হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিসিসিটির অধীনে অনুমোদিত ৮৯১টি প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার ১১১ কোটি টাকা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অপচয় বা আত্মসাৎ হয়েছে। এ হিসাবে ৫৪.১৮ শতাংশ টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

টিআইবি জানায়, প্রকল্পে দুর্নীতির মূল ক্ষেত্রগুলো হলো প্রকল্প অনুমোদনে ঘুষ ও অবৈধ লেনদেন, ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং বাস্তবায়ন পর্যায়ে অর্থ আত্মসাৎ। বিশেষ করে ২০১৯–২০২৩ সালে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর অর্ধেকের বেশি ছিল সৌর সড়কবাতি স্থাপন সংক্রান্ত, যেখানে অতিমূল্যায়নের মাধ্যমে ১৭০ কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জলবায়ু তহবিলে দুর্নীতির ধরন ও মাত্রা দেখাচ্ছে এটি রাজনৈতিক যোগসাজশে দুর্নীতির এক বিশেষ ক্ষেত্র। এতে বোর্ডের সদস্য, প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহল ও বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তাদের একটি অংশ জড়িত।

তিনি আরও বলেন, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত যে পরিমাণ সরকারি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তার অর্ধেকেরও বেশি আত্মসাৎ হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির মুখে থাকা দেশের জন্য এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সরকার ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে বিসিসিটিকে পেশাদারভাবে পুনর্গঠন করা এখন সময়ের দাবি।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন