[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

খালেদা জিয়ার খালাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

প্রকাশঃ
অ+ অ-
সুপ্রিম কোর্ট

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও আরও তিনজনের করা আপিল মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এতে আগে বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের দেওয়া সাজা বাতিল হয়ে যায়। ১৫ জানুয়ারি আপিল বিভাগের রায়ে খালেদা জিয়া ও তিনজনের আপিল মঞ্জুর হয়। এই রায়ের ফলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ যাঁরা আপিল করতে পারেননি, তারাও খালাস পান।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতভাবে এই রায় দেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ৫৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় ৪ নভেম্বর প্রকাশ করা হয়েছে।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, সব আপিল সর্বসম্মতভাবে মঞ্জুর করা হলো। হাইকোর্ট ও বিচারিক আদালতের উভয় রায় বাতিল করা হয়েছে। ফলে সব আপিলকারীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জন্য তাঁরা দোষী সাব্যস্ত না হয়ে খালাস পান।

রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই আপিলগুলো থেকে বোঝা যায় যে আগের আদালতগুলো আইনের ভুল প্রয়োগ করেছেন, যা বিদ্বেষপ্রসূত প্রসিকিউশনের অংশ ছিল। এই রায় অন্য দোষী সাব্যস্ত যাঁরা আপিল করেননি, তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। আপিল বিভাগের এই সিদ্ধান্ত আপিলকারী ও অন্যান্য অভিযুক্তের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করবে এবং তাদের নির্দোষ নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে অযৌক্তিক কার্যধারা বন্ধ হবে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত-৫ রায় দেন। তখন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া ও দুই আপিলকারী হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা ১০ বছরে বৃদ্ধি করা হয়। অপর দুই আপিলকারী কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের সাজা অপরিবর্তিত রাখা হয়।

খালেদা জিয়া ও ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন মামলাটি দায়ের করে। ওই মামলায় অন্য দুই আসামি ছিলেন সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও ব্যবসায়ী মমিনুর রহমান।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন