[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

আশ্বাসের পর সিলেট আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহার

প্রকাশঃ
অ+ অ-
সিলেটের উন্নয়ন বৈষম্যের প্রতিবাদে নগরের কোর্ট পয়েন্টে গণ-অবস্থান কর্মসূচি। আজ রোববার দুপুরে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

সিলেটবাসীর সঙ্গে উন্নয়ন বৈষম্য ও বঞ্চনার প্রতিবাদে করা গণ-অবস্থান কর্মসূচি সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর স্থগিত ঘোষণা করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। ‘সিলেট আন্দোলন’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

আজ রোববার সকাল ১১টা থেকে নগরের সিটি পয়েন্ট সড়কে অবস্থান নেন কয়েক হাজার মানুষ। আরিফুল হকের নেতৃত্বে তাঁরা কর্মসূচি শুরু করেন। বিকেল চারটার দিকে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বৈষম্য দূর করতে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আন্দোলনকারীদের পক্ষে আরিফুল হক কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।

জেলা প্রশাসক কর্মসূচিস্থলে এসে আরিফুল হকসহ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় আরিফুল হক বলেন, সিলেটের সড়কব্যবস্থা এখন ভয়াবহভাবে নাজুক। ঢাকা–সিলেট মহাসড়ক থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ সড়কের বেহাল অবস্থা সিলেটবাসীর দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। রেলপথের ব্যবস্থাপনাও পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। নতুন ট্রেন চালু, বগি সংযোজন ও রেলপথ সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় সিলেট রুটের বিমানভাড়াও বেশি।

আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বন্যাপ্রবণ সিলেটের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে বড় ধরনের পরিকল্পনা নিতে হবে। সিলেট থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হলেও আবাসিক ও অনাবাসিক সংযোগ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং অসহনীয় হয়ে উঠেছে। নগরে বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ নানা ক্ষেত্রে সিলেট উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার। তিনি অভিযোগ করেন, পরিবেশের অজুহাতে অনেক বড় প্রকল্প আটকে রাখা হচ্ছে, যা সিলেটের অগ্রগতিতে বাধা তৈরি করছে।

সিলেটবাসী উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় তিনি বৈষম্যের নানা পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।

সব কথা শোনার পর জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম জানান, সিলেটের বড় বড় সমস্যাগুলো তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে জানাবেন। তিনি আন্দোলনকারীদের গণ-অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে আসার অনুরোধ জানান। এরপর আরিফুল হক চৌধুরী আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে দৃশ্যমান উদ্যোগ না দেখা গেলে আবারও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

এর আগে বেলা একটার দিকে গণ-অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে আরিফুল হকের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেন। তাঁরা উন্নয়ন বৈষম্য দূর করার দাবিতে নানা স্লোগান দেন। এ সময় আরিফুল বলেন, ‘সিলেটের সঙ্গে উন্নয়ন নিয়ে চরম বৈষম্য করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে আমরা রাজপথে নেমেছি। সরকারের যৌক্তিক জবাব না পাওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’

কর্মসূচি চলাকালে সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ বক্তব্য দেন। সিটি পয়েন্ট থেকে সুরমা পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, এতে আশপাশের রাস্তায় যানজট তৈরি হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরের কুমারপাড়া এলাকার নিজ বাসভবনে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন আরিফুল হক চৌধুরী। ওই সভা থেকে সিলেট অঞ্চলের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ‘সিলেট আন্দোলন’ নামে একটি সর্বজনীন প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়। 

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন