[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

আলোচনা সভায় বক্তারা: সরকারের প্রশ্রয়ে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বেপরোয়া

প্রকাশঃ
অ+ অ-

 

লালন সাঁইয়ের তিরোধান দিবস উপলক্ষে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হলেও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা উচ্ছেদ হয়নি। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে গত এক বছরে উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান ঘটেছে। সরকার এদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সরকারের প্রশ্রয়ে এরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্যে বক্তারা এসব কথা বলেন। মরমি সাধক ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩৬তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এ আয়োজন করেছে।

‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’—এই বাণীকে সামনে রেখে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিখিল দাস। আলোচক ছিলেন বাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ, চারণের সহসভাপতি শাহজাহান কবীর, কবি কামরুজ্জামান ভূঁইয়া প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন।

ফিরোজ রশীদ বলেন, লালন সাঁই ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার একজন লোকদার্শনিক। তিনি বাউলচিন্তার আলোকে জাতপাত ও ধর্মীয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে মানবতার জয়গান গেয়েছেন। তিনি সমাজের ব্রাত্যজনের চলমান অন্তস্রোতের ভাবসম্পদ ধারণ করতে পেরেছেন।

বাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে গত এক বছরে উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান ঘটেছে। এই ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাজার, মন্দির, পীরের দরগা, লালনের আখড়া, মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যে আক্রমণ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বা ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মব লিঞ্চিং বা গণপিটুনিতে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। লাশ কবর থেকে তুলে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে ফেলা, নারীদের খেলা বন্ধ করাসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা দিচ্ছে। এই সাম্প্রদায়িক মব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সরকারের প্রশ্রয়ে এরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এটি গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।

বক্তারা আরও বলেন, ধর্ম, বর্ণ, জাতি বা মানুষের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি নয়, মিলনের রাজনীতি গড়ে তোলার চেষ্টা করতে লালনের দর্শন, চিন্তা ও কর্মপথ সাহায্য করতে পারে। লালনের ভাবনা আজকের দিনে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন