[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

জুসের ফাঁদে প্রবাসী, চুরি হল স্বর্ণ-টাকা-মোবাইল

প্রকাশঃ
অ+ অ-
অজ্ঞান করে চুরি ও লুটপাট | প্রতীকী ছবি

দুবাইপ্রবাসী এ আর হোসেন ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। পথে তার পাশের আসনে বসা এক যাত্রী আলাপচারিতা শুরু করেন। একপর্যায়ে ওই যাত্রী হোসেনকে জুস খেতে প্রস্তাব দেন। সরল মনে সন্দেহ না করে হোসেন জুস পান করেন। এরপর তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে যাত্রীটি তাঁর মানিবাগ, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার লুট করে চলে যান।

ঘটনাটি ঘটেছে  বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে নওগাঁগামী একতা পরিবহনের একটি বাসে।

ভুক্তভোগী এ আর হোসেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রামের বাসিন্দা। তিনি দুবাই থেকে ঢাকায় এসে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন। পাশের আসনের যাত্রী ছিলেন নরসিংদীর আরমান হোসেন, যিনি পুলিশের তথ্য অনুযায়ী অজ্ঞান পার্টির সদস্য। পুলিশ ইতোমধ্যে আরমানকে আটক করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বাসের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হোসেন সকাল ঢাকায় পৌঁছান। বেলা ১১টার দিকে তিনি উত্তরা থেকে একতা পরিবহনের বাসে ওঠেন। বাসে পাশের আসনে বসা আরমান হোসেনের সঙ্গে আলাপ হয়। শেরপুরের আগে আরমান একটি বোতল বের করে হোসেনকে জুস খেতে প্রস্তাব দেন। হোসেন জুস পান করার পর অজ্ঞান হয়ে পড়লে আরমান তার মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করেন।

ভুক্তভোগী এ আর হোসেন বলেন, 'আমার নামার কথা ছিল বগুড়া-নওগাঁ সড়কের চৌমুহনী মোড়ে। কিন্তু অজ্ঞান হয়ে থাকার কারণে বাস শেষ গন্তব্য নওগাঁ বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে। সেখানে পাশে বসা ওই যাত্রী এবং বাসের সুপারভাইজার আমাকে নামিয়ে মুখে ও চোখে পানি দেন। চেতনা ফেরার পর আমি পাশের সিটের যাত্রীকে ধরে ফেলি। পরে অন্য যাত্রীদের সহযোগিতায় আমার চুরি হওয়া টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করি। তার আসল উদ্দেশ্য ছিল বাসের লকার থেকে আমার ব্যাগ নেওয়া, যেখানে আরও কিছু মূল্যবান জিনিস ছিল।' 

নওগাঁ সদর থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, 'অজ্ঞান পার্টির সদস্য সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।' 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন