‘ন্যায্য অধিকার আদায়ে শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছি’
![]() |
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বিভিন্ন দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, শত শত শিক্ষক-কর্মচারী অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় তারা ‘বিশ পার্সেন্ট বাড়ি ভাড়া, দিতে হবে দিয়ে দাও’, ‘অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন, দিতে হবে দিয়ে দাও’, ‘১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, দিতে হবে দিয়ে দাও’ স্লোগান দিচ্ছেন।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ইউসুফ ভুঁইয়া বলেন, ‘আমরা এখানে যারা আছি, তাঁদের রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য নেই। শুধু ন্যায্য অধিকার আদায়ে শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছি।’ তিনি জানান, তাঁর এলাকায় অন্তত ৯০ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে।
‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিন দফা দাবি পূরণের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা সরকারের কোনো পক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করেনি। তবে বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়েছি, দাবি পূরণে মন্ত্রণালয় তৎপর রয়েছে।’
আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা জানান, চলমান কর্মবিরতির কারণে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হবে, তা পূরণে প্রয়োজনে তারা পরবর্তীতে শুক্র ও শনিবার ক্লাসে নেবেন। তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা কর্মস্থলে ফিরবেন না।
![]() |
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ‘বিশ পার্সেন্ট বাড়ি ভাড়া, দিতে হবে দিয়ে দাও', 'অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন, দিতে হবে দিয়ে দাও' ইত্যাদি দাবি জানান। আজ সোমবার দুপুরে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর ব্যানারে গতকাল রোববার সকাল আটটা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করেন। এতে ওই সড়কে প্রায় ছয় ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ লাঠিপেটা, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে শিক্ষক-কর্মচারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
গতকাল বেলা তিনটার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান নেন। সেখানে তারা রাতেও অবস্থান করেন। আজ সকালেও দ্বিতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
তাদের অন্য দুটি দাবি হলো শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকা করা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার ব্যবস্থা করা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন