ইপিজেডে কারখানার আগুন চার ঘণ্টা পেরিয়ে নিয়ন্ত্রণে আসেনি, ১৯ ইউনিট কাজ করছে
![]() |
| ইপিজেডের কারখানায় লাগা আগুন চার ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আজ সন্ধ্যায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে দুটি কারখানার গুদামে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট এবং নৌবাহিনীর চারটি ইউনিট। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আগুনের সূত্রপাত হয় অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড ও জিহং মেডিকেল কোম্পানির সাত তলার গুদামে। অ্যাডামস তোয়ালে ও ক্যাপ এবং জিহং মেডিকেল সার্জিকেল গাউন উৎপাদন করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর সদস্যরা আগুন নেভাতে কাজ করছেন। চারপাশে ঘন কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে গেছে। আগুন ধীরে ধীরে পাঁচ ও ছয় তলায় ছড়িয়ে পড়ছে। ভবনটির আশপাশে অনেক মানুষ ভিড় করেছেন। নিরাপত্তার জন্য সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদের সরিয়ে দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে একজন নারী শ্রমিককে গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়। শ্রমিকদের ধারণা, তিনি ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে থাকতে পারেন।
সিইপিজেড সূত্র জানিয়েছে, ভবনটিতে মোট ৭০০ শ্রমিক কাজ করেন। তবে চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সুবাহান জানান, কোনো শ্রমিক আহত হননি। তিনি বলেন, 'আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাই কারও হতাহতের আশঙ্কা নেই।'
জি হং মেডিকেল কোম্পানির শ্রমিক মোছাম্মত শিপা বলেন, 'আগুনের সূত্রপাতের জায়গায় সাধারণত নারীদের যাওয়া নিষেধ। আমি পাঁচতলায় কাজ করি। দুপুরে খাওয়ার পর ‘আগুন, আগুন’ চিৎকার শুনে অনেককে উপরে থেকে নিচে নামতে দেখেছি। চিৎকার শুনে আমরা সবাই দৌড়ে নিচে নামি।'
জি হং মেডিকেল কোম্পানির সুপারভাইজার ফাহিমুল মাহমুদ ভূঁইয়া বলেন, 'আমি চারতলায় ছিলাম। দুপুরের দিকে জরুরি অ্যালার্ম বাজতে শুনি। পরে জানতে পারি, আগুন লেগেছে। শুরুতে আগুন কম ছিল, পরে বেড়েছে।'
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, 'ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নেভাতে সময় লাগছে। মালিকপক্ষ জানিয়েছে, ভেতরে কোনো শ্রমিক আটকে নেই।'

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন