[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে ১২০টি দোকান উচ্ছেদ

প্রকাশঃ
অ+ অ-
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা এলাকার ঝাউবাগানের ভেতরে বসানো দোকান উচ্ছেদে যৌথ বাহিনীর অভিযান। আজ বিকেলে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টে বালিয়াড়ি ও ঝাউবাগান দখল করে গড়ে তোলা ১২০টির বেশি অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার বেলা দুইটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চলা যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকশ সদস্য অংশ নেন। অভিযানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে একজনকে আটক করা হলেও উচ্ছেদ কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। সকাল ১১টার পর থেকে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ অবৈধ দোকান সরানোর চেষ্টা করেন। দোকানমালিকাদের নানা অজুহাতের কারণে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী মাইকিং করে বেলা দুইটা পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেন। তিনি জানান, এরপরও দোকান সরানো না হলে যৌথ বাহিনী উচ্ছেদে নামবে।

একই সময়ে টুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, 'কার্ড থাকুক বা না থাকুক, ঝাউবাগানের ভেতরে কোনো দোকান রাখা যাবে না।' 

দুপুর গড়িয়ে গেলে খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) দিয়ে অবৈধ দোকান ভাঙার কাজ শুরু হয়। দোকানমালিকারা পরে ঝাউবাগানের ভেতরে রাখা দোকান সরিয়ে সৈকত সড়কের পাশে রাখেন, যা সাময়িকভাবে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। বিকেল চারটার দিকে এক্সকাভেটর দিয়ে কয়েকটি দোকান ভাঙা শুরু হলে বাকিগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।

যৌথ অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিদুল আলম। উপস্থিত ছিলেন টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ, সেনাবাহিনীর মেজর আরিফ শাহরিয়ার, সদর ইউএনও নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমেদ পেয়ার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজিম খান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে সুগন্ধা সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে দেড় শতাধিক চার চাকার টংঘর দোকান বসানো হয়। জেলা প্রশাসন ও টুরিস্ট পুলিশের তৎপরতায় দোকানগুলো সরিয়ে দিলে পরে মসজিদের উত্তর পাশের ঝাউবাগানে নতুন করে দোকান বসানো হয়, যা পর্যটকদের নিরাপদ চলাচল ব্যাহত করছিল।

ইউএনও নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী বলেন, 'কোনো সংঘাত ছাড়াই যৌথ বাহিনী ঝাউবাগানের ভেতর থেকে ১২০টির বেশি দোকান উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ বালিয়াড়ি বা ঝাউবাগানে অবৈধ স্থাপনা করতে না পারে, সেদিকেও নজর রাখা হবে।'

পুলিশ জানায়, সুগন্ধা সৈকতের বালিয়াড়িতে আরও কয়েকশ দোকানপাট রয়েছে। এগুলো আগামী ১৬ অক্টোবরের মধ্যে নিজ উদ্যোগে সরানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, নতুন স্থাপনাগুলো ১১ অক্টোবর রাতের মধ্যে এবং পুরোনো স্থাপনাগুলো ১৬ অক্টোবরের মধ্যে সরাতে হবে। এরপর শহরজুড়ে মাইকিং করে বিষয়টি জানানো হয়।

জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, 'প্রথম দিনের অভিযানে ১২০টির মতো দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবশিষ্টগুলো ১৭ অক্টোবরের মধ্যে সরানো হবে। একই সঙ্গে সৈকতের ময়লা-আবর্জনাও পরিষ্কার করা হচ্ছে। আমরা চাই, কোনো পর্যটক যেন সৈকতে এসে ভোগান্তিতে না পড়েন।' 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন