তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দাবিতে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল
![]() |
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল মিছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মশাল মিছিল করেছে একদল শিক্ষার্থী। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মশাল প্রজ্বালন ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিল ও কর্মসূচিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) আসাদুল হাবিব দুলুর নেতৃত্বে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করা হয়।
কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ, শামসুর রহমান ও রংপুর মহানগর কমিটির সাবেক সদস্য সচিব রহমত আলী বক্তব্য দেন।
শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, 'ভারত গজলডোবায় বাঁধ দিয়ে নদীর আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। পানির আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়েছিল। ভারতের তিস্তার পানির রাজনীতির কারণে দেশের উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাজশাহী অঞ্চলের পদ্মা নদীও মৃতপ্রায় নদীতে পরিণত হচ্ছে। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, কিন্তু ভারত এই নদীমাতৃক দেশকে মরুভূমিতে পরিণত করছে।'
বক্তারা বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বৃহস্পতিবার রংপুরের পাঁচটি জেলায় লাখো মানুষ মশাল জ্বালিয়েছিলেন। তারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে এই মানুষের দাবি বুঝতে হবে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারকে নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শিগগির শুরু করতে হবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের আগে, নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করার দাবিতে গতকাল রংপুরের গঙ্গাচড়ায় হাজারো মানুষ মশাল প্রজ্বালন করে বিক্ষোভ করেছেন। তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে এই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এবং বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের নেতারা জানান, ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুরে তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকায় মশাল প্রজ্বালন কর্মসূচিতে হাজারো মানুষ অংশ নেন। এ ছাড়া রংপুরসহ তিস্তা নদীবেষ্টিত ১০ উপজেলার ৩১টি স্থানে মশাল প্রজ্বালনের কর্মসূচি পালন করা হয়।
আসাদুল হাবিব জানান, তারা চাই, আগামী নভেম্বরের মধ্যে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হোক।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন