কালের কণ্ঠ’র ডিক্লারেশন বাতিল চেয়ে রিট মামলা ১১ সাংবাদিকের
![]()  | 
| কালের কণ্ঠ | গ্রাফিকস: পদ্মা ট্রিবিউন | 
বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন দৈনিক কালের কণ্ঠের ‘ডিক্লারেশন’ বাতিল চেয়ে আদালতে রিট আবেদন করেছেন পত্রিকাটির সাবেক ১১ কর্মী। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সোমবার রিটটি করা হয়। আবেদনকারীদের আইনজীবী দেবাশীষ দেব জানান, রিটটি শুনানির জন্য আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টে দাখিল করা হবে।
রিটে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর এবং কালের কণ্ঠের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরীকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটের প্রার্থনায় বলা হয়েছে, নিয়মিত প্রকাশনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ নিশ্চিত করার ক্ষমতা কালের কণ্ঠ পত্রিকা কর্তৃপক্ষ হারিয়েছে। সেক্ষেত্রে কেন পত্রিকার ঘোষণাপত্র বাতিল করা হবে না, তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছে। এছাড়া, পত্রিকায় পদত্যাগ বা বরখাস্ত হওয়া রিট আবেদনকারী সাংবাদিকদের বকেয়া পরিশোধের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রকাশকের কাছে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনকারী ১১ জন হলেন মো. শাহ আলম, মো. জাহেদুল আলম, কাকলী প্রধান, দেওয়ান আতিকুর রহমান, আবু সালেহ মোহাম্মদ শফিক, কে এম লতিফুল হক, আসাদুর রহমান, মো. রোকনুজ্জামান, শামসুন নাহার, মো. লতিফুল বাশার ও হানযালা হান।
রিটে বলা হয়েছে, বকেয়া পরিশোধের জন্য ১৭ আগস্ট তারা বিবাদীদের কাছে আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কালের কণ্ঠের প্রকাশক তা মেনে কোনো পদক্ষেপ নেননি। চেক জমা দিলে তা অপর্যাপ্ত তহবিল দেখিয়ে ফেরত দেওয়া হয়। এ কারণে পত্রিকাটি চালানোর প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাতে সক্ষমতা হারিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বক্তব্যে আইনজীবী দেবাশীষ দেব বলেন, চেকগুলো ব্যাংকে জমা দিলে তা ফেরত আসে। ১৯৭৩ সালের প্রিন্টিং প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনস (ডিক্লারেশন অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন) অ্যাক্টের ২০ ধারা অনুযায়ী, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আর্থিক সক্ষমতা হারালে কোনো পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করতে পারেন। এসব যুক্তি তুলে কালের কণ্ঠের ডিক্লারেশন বাতিল এবং আবেদনকারীদের বকেয়া পরিশোধের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন