[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

দাবি আদায় না হলে দুপুরে ‘মার্চ টু যমুনা’ করবেন শিক্ষক-কর্মচারীরা

প্রকাশঃ
অ+ অ-
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা) বাড়ি ভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার টানা পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। সকাল ১০টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কয়েক হাজার শিক্ষক-কর্মচারী জড়ো হয়েছেন। তাঁরা স্লোগান দিচ্ছেন, ‘২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, দিতে হবে দিতে হবে’, ‘বাংলার শিক্ষক, এক হও এক হও’, ‘শিক্ষকদের সঙ্গে প্রহসন, মানি না মানি না’ প্রভৃতি।

আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেন, দাবি আদায় না হলে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ দুপুর ১২টায় তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনমুখী ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালন করবেন।

গতকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের যুগ্ম সদস্যসচিব আবুল বাশার।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে আবুল বাশার বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আমাদের দর-কষাকষি চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে ১০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া দেওয়ার বিষয়ে মনোভাব প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল রাতে সরকারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। এ ছাড়া দুজন রাজনৈতিক নেতাও সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে আমরা ২০ শতাংশ ছাড়া আন্দোলন থামাব না।’

এই শিক্ষক নেতা বলেন, আজ দুপুর ১২টার মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে তাঁরা পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি পালন করবেন।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষকেরা বলছেন, সরকার তাঁদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখেনি। তাই তাঁরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন। ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়ার দাবি পূরণ না হলে তাঁরা কর্মস্থলে ফিরবেন না।

ময়মনসিংহ থেকে আন্দোলনে যোগ দিতে আসা মেহেদী হাসান নামের এক মাধ্যমিক শিক্ষক বলেন, সরকার শিক্ষকদের দাবিদাওয়া শুরুতে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। রাস্তায় নামার আগে সরকার আলোচনা করে শিক্ষকদের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তা না মেনে ৫০০ টাকা বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এটা একপ্রকার অপমান। এখন শিক্ষকেরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন। তাই ২০ শতাংশ ছাড়া তাঁরা কর্মস্থলে ফিরবেন না।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন