[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলায় জামায়াত–শিবিরের সব আসামি খালাস

প্রকাশঃ
অ+ অ-
ছাত্রলীগের নিহত কর্মী ফারুক হোসেন | ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় সব আসামি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। রোববার বেলা দুইটার দিকে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক জুলফিকার উল্লাহ চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

এ মামলায় জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন কেন্দ্রীয় আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও রাজশাহী মহানগরের তৎকালীন আমির আতাউর রহমানসহ ১১৪ জন আসামি ছিলেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ মাসুম। তিনি বলেন, সাক্ষ্য–প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আসামিদের মধ্যে ৯ জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। ১০৫ জন জীবিত আছেন। রায় ঘোষণার সময় ২৫ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকিরা অনুপস্থিত।

ফারুক হোসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে হল দখল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষে তিনি নিহত হন। পরে তাঁর লাশ ম্যানহোলে পাওয়া যায়।

ঘটনার পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু বাদী হয়ে নগরের মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ৩৫ জন জামায়াত-শিবির নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০–২৫ জনকে আসামি করা হয়। প্রায় আড়াই বছর পর, ২০১২ সালের ২৮ জুলাই পুলিশ আদালতে ১ হাজার ২৬৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করে।

অভিযোগপত্রে জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি শামসুল আলম গোলাপ, সম্পাদক মোবারক হোসেন, নবাব আবদুল লতিফ হল শাখার সভাপতি হাসমত আলী ও শহীদ হবিবুর রহমান হলের সভাপতি রাইজুল ইসলামসহ ১১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হলো।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ মাসুম বলেন, ‘রায়ে খুশি–অখুশি এখনই বলা যাবে না। আগে রায়টা দেখি, তারপর বলা যাবে। তবে মামলাটা করার সময় প্রকৃত আসামিদের আড়াল করে রাজনৈতিক কারণে অন্যদের আসামি করা হয়েছিল।’

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন