বগুড়ায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণচেষ্টা মামলায় বাসচালক কারাগারে
কারাগার | প্রতীকী ছবি |
বগুড়ায় দূরপাল্লার বাসে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় আটক বাসচালককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগীর ভগ্নিপতি শাজাহানপুর থানায় মামলা করেন।
গ্রেপ্তার সোহাইল হাসান ওরফে শাকিব (২৬) শাজাহানপুর উপজেলার জয়ন্তীবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আর কে ট্রাভেলসের চালক। মামলায় বাসচালকের সহকারী সৈকতসহ (২২) অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার রাতে ঢাকায় যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে ওই চালককে আটক করে হাইওয়ে পুলিশ। পরে রাত ১১টার দিকে তাঁকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাত আড়াইটার দিকে ডিবি পুলিশ আটক ওই বাসচালককে শাজাহানপুর থানায় হস্তান্তর করে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সোমবার সকাল ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কড্ডার মোড় থেকে এক বন্ধুর সঙ্গে আর কে ট্রাভেলসের বগুড়াগামী একটি বাসে ওঠেন। বাসটি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বনানী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে বাসের সব যাত্রী নেমে গেলেও চালক সোহাইল হাসান শাকিব ও তাঁর সহকারী সৈকত ওই শিক্ষার্থী ও তাঁর বন্ধুকে বাস থেকে নামতে বাধা দেন। একপর্যায়ে বাসের ভেতর ওই শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে তাঁর বন্ধুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর চালক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। মেয়েটির চিৎকারে বন্ধু ফিরে এলে আবার তাঁকে ভয় দেখানো হয়।
এজাহারে বলা হয়, এরপর চালক ও সহকারী বাসের ভেতর মেয়েটিকে আটকে রেখে বাস নিয়ে পর্যটন মোটেলের একটি গ্যারেজে যান। পরে সেখানে অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজন মেয়েটিকে ধর্ষণচেষ্টার বিষয়টি গোপন করতে ভয়ভীতি দেখান। পরে তাঁকে ঢাকাগামী একটি বাসে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি আর কে ট্রাভেলসের কাউন্টারে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। বিষয়টি গোপন করার চেষ্টা করা হয় এবং বাসচালক ও সহকারী পালিয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার রাতে হাইওয়ে পুলিশ টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা এলাকা থেকে চালককে আটক করে ডিবির কাছে হস্তান্তর করে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকেও উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় শাজাহানপুর থানার পুলিশ।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার পর আটক বাসচালককে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন