বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে তুরস্কের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সফররত তুরস্কের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বেরিস একিনচি। সাক্ষাৎকালে তুরস্ক বাংলাদেশে নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে বলে জানানো হয়। পাশাপাশি দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারসহ বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাক্ষাৎটি অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখন সবাই নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে, টার্কিও (তুরস্ক)।” তিনি আরও জানান, নির্বাচনের পর নতুন সরকারের সঙ্গে তুরস্ক কাজ করতে আগ্রহী।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, নির্বাচন–পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তা নিয়েও আলাপ হয়েছে।
সাক্ষাৎকালে তুরস্কের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন ও ঢাকায় সফররত তুরস্কের প্রতিনিধিদলের দুজন সদস্য। বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। তারা প্রায় এক ঘণ্টা কার্যালয়ে ছিলেন।
তুরস্কের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ সোমবার সকালে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন।
![]() |
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়, ঢাকা। ৬ অক্টোবর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'দুই দেশের মধ্যে আমাদের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। জিয়াউর রহমানের সময় তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। পাশাপাশি ওআইসিতে (আন্তর্জাতিক ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা) বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আগামী দিনে ওআইসিকে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানো, বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগ ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয় নিয়েও আলাপ হয়েছে।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, 'তুরস্ক বাংলাদেশকে যৌথ প্রতিরক্ষা শিল্প (জয়েন্ট ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি) স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে। তুরস্ক সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। জয়েন্ট ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি স্থাপনের জন্য তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। বিএনপি এই সহযোগিতায় সমর্থন জানাবে।'
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন