শূন্যরেখায় শেষবার বাবার মরদেহ দেখলেন মেয়ে
পতাকা বৈঠকে দুই বাহিনীর মধ্যে সর্বদা সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়েও আলোচনা হয়।![]() |
বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ শেষবারের মতো দেখানো হয় বাংলাদেশে থাকা স্বজনদের। বুধবার দুপুরে যশোরের শার্শা সীমান্তের শূন্যরেখায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্তের শূন্যরেখায় এক আবেগঘন দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। সেখানে ভারতীয় নাগরিক জব্বার মণ্ডলের মরদেহ শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পান বাংলাদেশে থাকা তাঁর মেয়ে রিতু মণ্ডল ও অন্য স্বজনেরা। বুধবার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এ ব্যবস্থা করা হয়।
জব্বার মণ্ডল (৭৫) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার বাশঘাটা গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার বার্ধক্যজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল গ্রামে বসবাসরত মেয়ে ও স্বজনেরা বাবার মরদেহ শেষবারের মতো দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তাঁদের এই আবেদনের বিষয়টি বিএসএফের মাধ্যমে বিজিবির কাছে পৌঁছায়। পরে দুই বাহিনীর সম্মতিতে পতাকা বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বুধবার দুপুরে শার্শা সীমান্তের শূন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে মরদেহ দেখার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে উপস্থিত থেকে জব্বার মণ্ডলের মেয়ে ও স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে মরদেহ ভারতীয় ভূখণ্ডে ফিরিয়ে নেওয়া হয় এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনায় দাফন করা হয়।
পতাকা বৈঠকে বিজিবির নেতৃত্ব দেন সুবেদার মো. সেলিম মিয়া এবং বিএসএফের নেতৃত্ব দেন এসি সঞ্জয় কুমার রায়।
বৈঠক শেষে যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, 'সীমান্তের কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তাঁর স্বজনরা যদি দুই দেশে বসবাস করেন, তাহলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ দেখানোর সুযোগ দেওয়া হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ীই জব্বার মণ্ডলের মরদেহ তাঁর মেয়ে ও আত্মীয়দের দেখানো হয়েছে।'
তিনি আরও জানান, 'পতাকা বৈঠকে দুই বাহিনীর মধ্যে সর্বদা সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়েও আলোচনা হয়।'
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন