[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

প্রেমিকার বাড়িতে অসুস্থ যুবক, ভিডিও করল অন্যরা

প্রকাশঃ
অ+ অ-
ভিডিও ভাইরাল প্রতীকী ছবি

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার সামান্যপাড়া গ্রামে প্রেমিকার বাড়ির উঠানে ‘গ্যাস ট্যাবলেট’ খেয়ে এক যুবক মৃত্যুর চেষ্টা করেন। যুবক অসুস্থ হয়ে বাড়ির উঠানে ছটফট করতে থাকেন এবং বাঁচানোর আকুতি জানান। ঘটনাটি দেখাছিল বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীদের, কেউ কেউ মোবাইলে ভিডিও ধারণ করছিলেন। পরে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বুধবার রাতের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এটি ঘটে সোমবার সকালেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মারা যাওয়া যুবকের নাম স্বপন প্রামাণিক (৩৫)। তিনি পাবনা সদর উপজেলার খয়সুতি গ্রামের ইমাম প্রামাণিকের ছেলে। স্বপন সাঁথিয়া উপজেলার সামান্যপাড়া গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক জড়ান। প্রেমের স্বীকৃতি না পেয়ে তিনি ওই ঘটনার পথ বেছে নেন। ঘটনার পর কথিত প্রেমিকা পালিয়ে যান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিনের সম্পর্কের সূত্র ধরে ওই নারী স্বপনের সঙ্গে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। একপর্যায় তিনি স্বপনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। সোমবার সকালে স্বপন নারীটির বাড়িতে যান। প্রথমে তিনি নিজের হাত কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিয়ে না হওয়ায় পরে গ্যাস ট্যাবলেট খান। এতে অসুস্থ হয়ে তিনি বাড়ির উঠানে ছটফট করতে থাকেন এবং বাঁচানোর আকুতি জানান। তখন স্থানীয়রা ও প্রতিবেশীরা সেখানে আসে, কিন্তু কেউ উদ্ধার না করে ঘটনাটি মোবাইলে ধারণ করেন। পরবর্তীতে স্বপন নিস্তেজ হয়ে গেলে স্থানীয়রা তাঁকে ক্লিনিকে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ স্বপনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

পরে ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, স্বপন বাড়ির উঠানে গড়াগড়ি খাচ্ছেন। নিস্তেজ হয়ে পড়ার আগে তিনি বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন। আশপাশের অনেকে ঘটনা দেখলেও কেউ এগিয়ে আসেনি।

ঘটনার পর ওই নারী পালিয়ে যান। ওই নারীর মামাশ্বশুর বলেন, খবর পেয়েই তিনি ঘটনাস্থলে যান, কিন্তু তার আগেই স্বপন মারা গেছেন।

সাঁথিয়া থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, স্বপন ও ওই নারী দুজনই বিবাহিত ছিলেন। এ ঘটনায় ওই রাতেই স্বপনের স্ত্রী সাঁথিয়া থানায় অপমৃত্যুর একটি মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন