[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

১৫ সেনা কর্মকর্তা নির্দোষ, অপরাধী হলে পালিয়ে যেতেন: আইনজীবী

প্রকাশঃ
অ+ অ-
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে নির্দোষ দাবি করে আসামিপক্ষের আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘তাঁরা যদি অপরাধী হতেন, তাহলে পালিয়ে যেতেন—যেমন শেখ হাসিনাসহ অন্যরা পালিয়েছেন।’

বুধবার সকালে বিগত সরকারের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় গ্রেপ্তার বর্তমান ও সাবেক ১৫ সেনা কর্মকর্তার শুনানি শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এম সারোয়ার হোসেন জানান, 'তাঁদের সাব জেলে রাখা হবে। তাঁর দাবি, এসব কর্মকর্তাকে কখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাঁরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিজ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।' 

তিনি বলেন, ‘তাঁরা পালাননি, কারণ তাঁরা হত্যা করেননি। যেমন আকবর, তারেক সিদ্দিকী ও মুজিব পালিয়ে গেছেন।’ সাবেক এক আইজিপির সাক্ষ্যে জানা যায়, গুম ও হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জড়িত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি হতে তাঁরা নিজেরাই আত্মসমর্পণ করেছেন।’

বর্তমান কর্মকর্তারা এখনো দায়িত্বে আছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন।’

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলের গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি মামলায় এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা একটি মামলায় মোট ২৫ জন সাবেক-বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই এই তিন মামলায় ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছিল প্রসিকিউশন।

১১ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৫ জন কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন কর্মকর্তা অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) আছেন।

১২ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর সেনা সদরে ‘এমইএস বিল্ডিং নম্বর-৫৪’ ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণার জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। সেই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে ওই ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা করা হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আজ সকালে ৭টার পর ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি নিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ আদেশ দেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

যাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন—মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে), লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন