[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

আদালতে সাংবাদিকের ফোন ভাঙলেন গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা

প্রকাশঃ
অ+ অ-
সিলেট আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় আসামি কাজী আবদুল ওয়াদুদকে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সাদাপাথর ও বালু লুটের মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আবদুল ওয়াদুদ আলফু আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ হেফাজতে থেকে এক সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তিনি সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে ভেঙে ফেলেন। একই সময়ে তাঁর ছেলে আরেক সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভিডিও মুছে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। আবদুল ওয়াদুদ সাদাপাথর ও বালু লুট, হত্যা, ছাত্র আন্দোলনে হামলাসহ ১৯টি মামলার আসামি। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

প্রত্যক্ষদর্শী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুরে রিমান্ড শুনানির জন্য আবদুল ওয়াদুদকে সিলেট আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয়। এ সময় তাঁর পক্ষে নেতা-কর্মীসহ লোকজন আদালত এলাকায় জড়ো হন। শুনানি শেষে আদালত ভবনের চতুর্থ তলা থেকে তাঁকে হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল। তখন কয়েকজন সাংবাদিক ওই মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছিলেন।

এ সময় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় তিনি ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক নয়ন সরকারের মুঠোফোনটি কেড়ে নেন। অন্যদিকে আরেকটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক বিশাল দের মুঠোফোন কেড়ে নেন ওয়াদুদের ছেলে কাজী বায়জিদ আহমেদ। পরে বিশালের মুঠোফোনে থাকা ভিডিও মুছে সেটি ফিরিয়ে দেন বায়জিদ। এ সময় অন্য সাংবাদিকেরা এগিয়ে গেলে তাঁদের সঙ্গেও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।

এ সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নয়ন সরকার বলেন, মুঠোফোনটি নেওয়ার সময় পুলিশ চুপচাপ ছিল। পরে পুলিশ জানায়, তাঁর মুঠোফোনটি আসামি ভেঙে ফেলেছেন। বেলা আড়াইটার দিকে আসামিকে হাজতখানা থেকে প্রিজন ভ্যানে নেওয়ার সময়ও আসামির লোকজন সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। তখন আবদুল ওয়াদুদ সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

অভিযোগের বিষয়ে সিলেট আদালত পুলিশের পরিদর্শক জামশেদ আলম বলেন, সাংবাদিকেরা অনেকটা কাছ থেকে আসামির ছবি তুলছিলেন। একপর্যায়ে আসামি এক সাংবাদিকের মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন। ভাঙা মুঠোফোনটি এখন পুলিশের হেফাজতে আছে। এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে আদালত পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে। আদালত প্রাঙ্গণে প্রচুর ভিড় ছিল, অনেকে ভিডিও করছিলেন। কারা সাংবাদিক, কারা আসামির লোকজন—তা বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি।

এদিকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানায় সাদাপাথর লুটের মামলায় কাজী আবদুল ওয়াদুদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন শেখ। তিনি বলেন, সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ওয়াদুদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। 

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন