’৭২-এর সংবিধান ভারতের স্বার্থ রক্ষা করে: গাজী আতাউর রহমান
![]() |
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান | ছবি: আয়োজকদের সৌজন্যে |
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ’৭২ সালের সংবিধান ভারতের স্বার্থ রক্ষা করে। সেই সংবিধানের কারণে বারবার দেশ সংকটে পড়েছে। তথাপি বিএনপি ভারতের ইশারায় সংবিধানটি টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা দেশ ও ভারত চায় বাংলাদেশকে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে। তবে দেশের স্বাধীনচেতা মানুষ কখনোই বিদেশি শক্তির কাছে নত হয়নি। বরং ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে বিদেশি শক্তির সমর্থন গ্রহণ করেছে, যা দেশের জন্য দুঃখজনক।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান এই মন্তব্য করেছেন আজ শনিবার সকালে ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে এক গোলটেবিল বৈঠকে। ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ‘স্বাধীনতার পথরেখা ’৪৭, ’৭১, ’২৪: প্রেক্ষিত আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করেছিল। প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
সংগঠনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আরও বলেন, ’২৪-এর রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করে সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায়বিচার ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করা। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও জুলুমবাজদের কারণে সাধারণ মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। তিনি জানান, দেশে নীতি ও আদর্শ পরিবর্তন না হলে মানুষের ভাগ্যও বদলাবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শাসন আমরা দেখেছি। এই শাসনে সাধারণ মানুষের ভাগ্য বদলায়নি। শুধু দেশ, দল বা নেতা পরিবর্তন করলে শান্তি আসবে না। শান্তি তখনই আসবে, যখন আমরা নীতি-আদর্শ পরিবর্তন করতে পারব এবং ইসলামের সুমহান আদর্শকে রাষ্ট্র ও সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে পারব।’
বৈঠকটি ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল মোমেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, ব্র্যাকের এইচআর ও ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিশনার ফারহান বাশার প্রমুখ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন