চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা দিলে সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে: বাম গণতান্ত্রিক জোট
![]() |
| ‘চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা দেওয়ার জাতীয় স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট | ছবি: বাম জোটের সৌজন্যে |
অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সচেতন মানুষ ও রাজনৈতিক মহলের মতামত উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম বন্দরের তিনটি টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের হাতে তুলে দিতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তারা মনে করেন, এটি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
বৃহস্পতিবার সকালে ‘চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের ইজারা দেওয়ার জাতীয় স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বাম জোটের নেতারা এ কথা বলেন। সভা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কার্যালয়ে।
সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানকে কেন বিদেশিদের হাতে দেওয়া হচ্ছে, তা দেশবাসীর মনে গভীর সন্দেহের উদ্রেক করছে। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ আমলে শেখ হাসিনা সরকার এই জাতীয় স্বার্থবিরোধী প্রকল্প গ্রহণ করেছিল। কিন্তু গণ–অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারও সেই পথে হাঁটছে।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার দেশকে সাম্রাজ্যবাদীদের একটা ঘুঁটিতে পরিণত করছে। করিডর, অস্ত্র কারখানা, স্টারলিংক, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোপন চুক্তিসহ নানা ধরনের সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তে দেশকে জড়িয়ে ফেলছে।’
তিনি আরও বলেন, বামপন্থী প্রগতিশীল নেতৃত্বে গণ–আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া দেশ ও দেশের সম্পদ রক্ষার আন্দোলন এগোনো যাবে না। কোনো বুর্জোয়া দল বা সরকারের পক্ষে গণ–অভ্যুত্থান কিংবা জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের কাছে ইজারা দেওয়ার প্রতিবাদে ২৭ অক্টোবর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সামনে এবং দেশের সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি সাজ্জাদ জহির, সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও মোহাম্মদ শাহ আলম, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী, বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন প্রমুখ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন