[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

বাগেরহাটে চাচাতো ভাইকে ‘চোর’ তকমা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশঃ
অ+ অ-

হত্যা | প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মো. কালাম খান (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার চিংড়িখালী ইউনিয়নের ছোট জামুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কালাম খান ওই ইউনিয়নের ঢেপুয়ারপাড় গ্রামের ওয়াজেদ আলী খানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জমি নিয়ে কালাম খান ও তাঁর চাচাতো ভাই সোহেল খানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি আদালতেও আছে।

গতকাল সন্ধ্যায় স্থানীয় বাজার থেকে ফেরার পথে সোহেল খান ও তাঁর লোকজন কালাম খান ও তাঁর বড় ভাই লুৎফর খানকে আটক করে। পরে চুরির অভিযোগ তুলে হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে কালাম খান অচেতন হয়ে পড়লে তাঁকে রাস্তায় ফেলে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

পরে পুলিশ দুজনকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক কালাম খানকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত লুৎফর খানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

নিহত কালাম খানের ছেলে মো. রাব্বি খান মুঠোফোনে বলেন, ‘সন্ধ্যায় আমার আব্বা ও চাচা ওষুধ আনতে বাজারে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে সোহেল খান লোকজন নিয়ে তাঁদের ধরে নিয়ে যায়। মাকছুদু মাওলানা, মনু খাঁ, খবিরসহ ২৫–৩০ জন মিলে আমার বাবা ও চাচাকে তুলে নেয়। তাঁরা সবাই আমাদের আত্মীয়। প্রায় ১৫–২০ বিঘা জমি নিয়ে মামলা চলছে। সেই বিরোধের জেরেই পরিকল্পিতভাবে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে।’

রাব্বি আরও জানান, ঢেপুয়ারপাড় জামুয়া থেকে ধরে নিয়ে একটি বাগানে তাঁদের মারধর করা হয়। পরে শেখ কান্দায় রাস্তার পাশে এনে ছিনতাই ও চুরির অভিযোগ তুলে পুলিশে দেওয়া হয়।

আজ রোববার দুপুরে নিহত কালামের পরিবার মোরেলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

অভিযুক্ত সোহেল খান ও তাঁর সহযোগীদের বাড়ি ওই এলাকাতেই। তবে ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক, তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগের বিষয়ে তাঁদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘দুজনকে চোর সন্দেহে মারধর করা হচ্ছিল, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। সেখানে একজন মারা যান।’ তিনি আরও বলেন, নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হচ্ছে, অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। 

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন