জিগাতলায় ছাত্রী হোস্টেল থেকে এনসিপি নেত্রীর মরদেহ উদ্ধার
| জান্নাত আরা রুমি | ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া |
রাজধানীর জিগাতলার একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম জান্নাত আরা রুমি (৩০)।
জান্নাত আরা রুমি ধানমন্ডি থানা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর বাড়ি নওগাঁর পত্নীতলায়। তাঁর বাবার নাম জাকির হোসেন।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের হুমকি ও সাইবার বুলিংয়ের কারণে জান্নাত আরা রুমি আত্মহত্যা করেছেন। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, এটি আত্মহত্যা নয়, খুন।
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এনসিপির নেত্রী জান্নাত আরা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তিনি জিগাতলার ওই ছাত্রী হোস্টেলের একটি কক্ষে একাই থাকতেন।
সকালে খবর পেয়ে পুলিশ হোস্টেলে যায়। পুলিশ ও হোস্টেলের বাসিন্দারা জান্নাত আরাকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া পাননি। কক্ষটি ভেতর থেকে ছিটকিনি দেওয়া ছিল। পরে দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় জান্নাত আরার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
এদিকে জান্নাত আরার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে পোস্ট দেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রেজা। পোস্টে তিনি জানান, গত মাসে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায়ের দিন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জিয়ার কবর খুঁড়তে চাওয়া রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একজনকে পিটিয়ে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছিলেন জান্নাত আরা। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ জান্নাত আরাকে সাইবার বুলিং, হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দিয়ে আসছিল বলে পোস্টে উল্লেখ করেন তারেক রেজা। তিনি আরও লেখেন, এসব কারণেই জান্নাত আরা রাতে আত্মহত্যা করেছে।
ফেসবুক পোস্টে তারেক রেজা আরও লিখেছেন, ‘এটাকে আমরা আত্মহত্যা হিসেবে দেখতে রাজি নই। এটা খুন। যারা আমার বোনের জীবনকে তছনছ করে দিয়েছে, তাদের জীবন আমরা শান্তিতে কাটাতে দেব না।’
Comments
Comments