এনসিপিকে শাপলা না দিলে ইসির ওপর আস্থা থাকবে না : সারজিস
| নাটোরে জাতীয় নাগরিক পার্টির জেলা সমন্বয় সভার পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সোমবার দুপুরে নাটোর শহরের আরপি কনভেনশন হলে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেয়, তাহলে এনসিপি তা মেনে নিবে না। এটা (শাপলা না দেওয়া) করার যদি তারা চেষ্টা করে, তাহলে তাদের ওপর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের কোনো আস্থা থাকবে না।’
সোমবার দুপুরে নাটোরের কানাইখালী এলাকার আরপি কনভেনশন হলে আয়োজিত জেলা সমন্বয় সভার পর এক সংবাদ সম্মেলনে সারজিস এ কথাগুলো বলেন। এনসিপি নাটোর জেলা শাখা এই সভার আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে সারজিস আলম বলেন, ‘যেহেতু শাপলা প্রতীক পেতে আইনগত কোনো বাধা নাই, নির্বাচন কমিশনও এমন কোনো বাধা দেখাতে পারেনি। তারপরও যদি শাপলা না দেয়, তাহলে তা নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারিতা অথবা বাইরের কোনো চাপ। অভ্যুত্থান–পরবর্তী বাংলাদেশে একটা স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থেকে এই স্বেচ্ছাচার আচরণ আমরা মেনে নেব, এটা মেনে নিয়ে তাদের মাধ্যমে নির্বাচনে যাব, ওই নির্বাচন স্বচ্ছ হবে, সুষ্ঠু হবে, এই বিশ্বাস আমরা করি না।’
জুলাই সনদে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন নিয়ে বিএনপির ‘নোট অব ডিসেন্ট’ সম্পর্কে সারজিস আলমের ভাষ্য, ‘কোনো রাজনৈতিক দল দলীয় এজেন্ডা দিয়ে পার পেয়ে যাবে, এ সুযোগ বাংলাদেশে নাই। জুলাই সনদ আইনগত ভিত্তিতে স্বাক্ষরিত হতে হবে। কেউ যদি এটার বিরুদ্ধে যায়, সেটা যদি কোনো দলও হয়, তার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত প্রক্রিয়ায় যেতে পারি। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ১৭ বছর টিকে গেছে। আর কেউ এ আচরণ করে এত দিন টিকবে না। বাংলাদেশের মানুষ রাস্তায় নামবে। রাস্তায় নামলে কী অবস্থা হয়, সেটা আপনারা দেখেছেন।’
সমন্বয় সভায় রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, নাটোর জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক জার্জিস কাদির, সিনিয়র যুগ্ম সমন্বয়কারী আবদুল মান্নাফ, যুগ্ম সমন্বয়কারী তৌফিক নিয়াজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এনসিপির সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে সাংবাদিকদেরকে সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্র থেকে একটা ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যন্ত শক্তিশালী কমিটি থাকতে হবে। আমরা আশা করছি, নভেম্বর মাসের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে এনসিপির কমিটি থাকবে।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন