[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার জানাজায় যুবলীগ নেতা

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার জানাজায় অংশ নেন যুবলীগ নেতা মো. মাকসুদুর রহমান। বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নেত্রকোনার খালিয়াজুরিতে যুবলীগ নেতা মো. মাকসুদুর রহমান বাবার জানাজায় অংশ নিতে আট ঘণ্টার প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন। এ সময় তাঁর বাঁ হাতে হাতকড়া ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত তিনি প্যারোলে ছিলেন। বাবার দাফনের পর আবার তাঁকে কারাগারে ফেরত নেওয়া হয়।

মাকসুদুর রহমান খালিয়াজুরি উপজেলা সদরের বড়হাটি এলাকার বাসিন্দা মো. ফজলুর রহমানের ছেলে। তিনি খালিয়াজুরি উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক। বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে আছেন মাকসুদুর রহমান।

স্থানীয় পুলিশ ও বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে মাকসুদুরের বাবা ফজলুর রহমান বার্ধক্যজনিত কারণে বাড়িতে মারা যান। পরে স্বজনেরা প্যারোলের আবেদন করলে জেলা প্রশাসন তাঁকে আট ঘণ্টার জন্য মুক্তি দেয়। পুলিশ তাঁকে প্রিজন ভ্যানে করে মদন উপজেলার উচিতপুর ফেরিঘাটে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে খালিয়াজুরি কলেজরোড ফেরিঘাটে পৌঁছে দেন। এরপর পায়ে হেঁটে তিনি খালিয়াজুরি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আসেন। জানাজা শেষে বাবার লাশ পূর্ব খালিয়াজুরি আবোড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাবার জানাজায় মাকসুদুরের দুই পাশে দুজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। তাঁর বাঁ হাতে হাতকড়া লাগানো ছিল এবং একজন পুলিশ সদস্য হাতকড়া ধরে ছিলেন। আশপাশে আরও কয়েকজন পুলিশও ছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৬ জুলাই খালিয়াজুরি উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগে ২ জুলাই মজলু মিয়া নামের একজন বিএনপি নেতা মামলা করেন। বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন-খালিয়াজুরি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাজ্জাদুল হাসানকে প্রধান আসামি করা হয় এবং ১৮৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। ওই মামলার ১৬ নম্বর আসামি মাকসুদুরকে গ্রেপ্তার করে ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

হাতকড়ার বিষয়ে খালিয়াজুরি থানার ওসি মুগবুল হোসেন বলেন, 'জানাজার সময় আসামির এক হাতে হাতকড়া ছিল। তিনি তো বন্দী। নিরাপত্তার কারণে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।' 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন