পরোয়ানা থাকা ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে: সেনাসদর
![]() |
| সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান। ঢাকা সেনানিবাসের মেস আলফা। ১১ অক্টোবর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সামরিক বাহিনীর ২৫ কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নিয়েছে। সেনাসদর জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গুমের মামলায় ট্রাইব্যুনাল পরোয়ানা জারির পর বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়। সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার না করার কারণে জুলাই অভ্যুত্থানকারীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল। শনিবার ঢাকা সেনানিবাসের মেস আলফাতে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান এ তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগ আমলের গুমের ঘটনায় দুটি মামলায় ট্রাইব্যুনাল বুধবার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তাদের মধ্যে ২৫ জনই সেনাবাহিনীর বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা। পরোয়ানা জারির দিনই তা সংশ্লিষ্ট ১৩টি দপ্তরে পাঠানোর কথা জানিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান বলেন, '২৫ জন সেনা সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত, একজন এলপিআর, এবং ১৫ জন সেনাবাহিনীতে কর্মরত। ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এলপিআর ও সার্ভিসে থাকা ১৬ জনকে সেনাসদরে সংযুক্ত হতে বলা হয়। ৯ অক্টোবরের মধ্যে তারা আসার নির্দেশনা পেয়েছিলেন। মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মাদ ছাড়া বাকি ১৫ জন এসেছে এবং তারা পরিবার থেকে আলাদা থাকছেন।'
কবীর আহাম্মাদের বিষয়ে তিনি জানান, 'তিনি ৯ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে বের হয়েছেন এবং এরপর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। ডিজিএফআই, এনএসআই ও বিজিবিকে বলা হয়েছে যেন তিনি দেশত্যাগ করতে না পারেন।'
মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান আরও বলেন, 'সেনাবাহিনী সংবিধান স্বীকৃত বাংলাদেশের সকল আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments
Comments