[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

অতি রাজনীতি যেন রাকসুর মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত না করে: উপাচার্য

প্রকাশঃ
অ+ অ-
নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব। শুক্রবার সকাল আটটার দিকে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) নবনির্বাচিত নেতাদের উদ্দেশে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেছেন, পদ উপভোগের বিষয় নয়, এটি একটি আমানত। তিনি দলমত–নির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘রাকসু দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের প্ল্যাটফর্ম হতে পারে না।’

৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত রাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর আজ শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে উপাচার্য এ কথা বলেন। তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু প্রাণ ফিরে পেল। এই প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই জিতে গেছে।’

নবনির্বাচিত প্রার্থীদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে উপাচার্য আরও বলেন, ‘অতি রাজনীতি যেন রাকসুর মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত না করে।’

এর আগে আজ সকালে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালেহ্ হাসান নকীব সার্বিক আয়োজন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের মুখ থেকে যখন আমরা শুনি যে নির্বাচনটা ভালো হয়েছে, শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ এবং ভোট গণনার সময়েও সব জায়গায় শান্তিশৃঙ্খলা ছিল, ছাত্র-ছাত্রীদের ভেতরে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল, তখন আমাদের শুনতে খুব ভালো লাগে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমরা কেমন পেরেছি, সেটির বিচার আপনারা ও আমাদের ছাত্রছাত্রীরা করবে। তবে এখন পর্যন্ত যে প্রতিক্রিয়া দেখতে পাচ্ছি, সেটা খুব আনন্দময়।’ শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ছাত্রছাত্রীরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ছিল। তারা নিয়ম-কানুনের ভেতর দিয়ে নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে, মুক্ত পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে, যা খুবই আনন্দের।’

এই সফল আয়োজনের কৃতিত্ব পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে দিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘এর পেছনে বহু মানুষের প্রচণ্ড হাড়ভাঙা পরিশ্রম আছে। আমাদের নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছেন। এটি একটি টিম এফোর্ট এবং আমরা তার সুফল পাচ্ছি।’

এর আগে গতকাল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে ১৭ হলের শিক্ষার্থী ভোট দেন। দিনভর পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে বিকেলে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। পরে এর সাড়ে চার ঘণ্টা পর রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ভোট গণনা শুরু হয়।

আজ সকাল নয়টার দিকে রাকসু নির্বাচনের প্রধান কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

রাকসু নির্বাচনে ভিপি, এজিএসসহ ২৩টি পদের ২০টিতেই জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’প্যানেল। তবে জিএস, ক্রীড়া ও খেলাধুলাবিষয়ক সম্পাদক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে তারা হেরেছে।

নির্বাচনে ১০টি প্যানেলসহ রাকসুর ২৩ পদে ২৪৭ জন, হল সংসদে ১৫ পদে ১৭টি হলে ৫৯৭ প্রার্থী এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫ পদে ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন