[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তার-মানবাধিকারকর্মীদের মুক্তির দাবি জামায়াতের

প্রকাশঃ
অ+ অ-

ফিলিস্তিন ইস্যুতে জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

জরুরি ত্রাণসহায়তা নিয়ে গাজায় যাওয়ার পথে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ক্রু ও মানবাধিকারকর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তাদের মুক্তি দাবি করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে জাতিগত হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার করার দাবি জানানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ দাবি জানান জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও মানবাধিকারকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভের আয়োজন করে জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ শাখা।

সমাবেশে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় একের পর এক গণহত্যা চালাচ্ছে। নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষ তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। জামায়াত এ হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’

রফিকুল ইসলাম খান বলেন, সারা দুনিয়া ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ত্রাণবাহী জাহাজে নৃশংসভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এতে ৫০০-এর বেশি মানবাধিকারকর্মী ও নৌবহরের ক্রু গ্রেপ্তার হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষমতাশালী দেশ ইসরায়েলকে অস্ত্র ও সহযোগিতা দিয়ে মুসলমানদের রক্তের সঙ্গে খেলায় লিপ্ত হয়েছে। রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘ইহুদিরা জানে না, মুসলিমরা শহীদ হতে জানে, পরাজয় মানতে জানে না। শহীদদের রক্তের বিনিময়েই ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে।’

ফিলিস্তিন ইস্যুতে জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

জাতিসংঘ ও বিশ্বশক্তিগুলোকে উদ্দেশ্য করে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করাতে তাদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ইসরায়েল যে অঞ্চলগুলো দখল করেছে সেগুলো মুক্ত করতে হবে এবং ত্রাণবাহী জাহাজের কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। ফিলিস্তিন স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত মুসলমানদের লড়াই চলবে—কোনো শক্তিই এই আন্দোলনকে শেষ করতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে যুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের দায়ে ইতোমধ্যেই যুদ্ধাপরাধী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা উচিত। ফিলিস্তিন স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্বের মুসলমানদের ঐক্য বজায় রেখে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।’

সমাবেশে জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম বলেন, ‘বিশ্বের ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবু ইসরায়েল সেই সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে চলেছে।’

ফিলিস্তিন ইস্যুতে জুমার নামাজের পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ–সমাবেশ। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট, ৩ অক্টোবর ২০২৫ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

আব্দুল হালিম বলেছেন, ফিলিস্তিন ও গাজা মুসলমানদের ইমান, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে জড়িত। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ফিলিস্তিনের পাশে রয়েছে। ফিলিস্তিনের পক্ষে মানুষকে সক্রিয় রাখতে হবে। প্রয়োজনে ফিলিস্তিনের পক্ষে জিহাদ করতে হবে—এতেও অংশ নিতে সবাই প্রস্তুত।’

সভাপতির বক্তব্যে জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘ফিলিস্তিনে যে নিষ্ঠুর নির্যাতন হচ্ছে, তা কোনো কোনো মুসলিম নেতার কারণে সম্ভব হয়েছে; তারা মূলত ইসরায়েলের পক্ষে কাজ করছেন। যদি তারা সত্যিকারের মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব করতেন, ইসরায়েল বারবার হামলা চালাতে সাহস পেত না।’

মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘মুসলিম নেতারা যদি আল্লাহর দরবারে দাঁড়ানোর ভয় অনুভব করতেন, তারা ওআইসির মাধ্যমে সব মুসলিম রাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ করে জিহাদ ঘোষণা করতে পারতেন। তখন এক সপ্তাহে ইসরায়েলকে পরাস্ত করা সম্ভব হতো।’

বিক্ষোভ–সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য হেলাল উদ্দিন। সমাবেশ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে একটি মিছিল বের করা হয়।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন