[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

জলকামান, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে কাকরাইলে জাতীয় পার্টির সমাবেশ পণ্ড করে দিল পুলিশ

প্রকাশঃ
অ+ অ-

রাজধানীর কাকরাইলে জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলাকালে পুলিশ নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের বাধার কারণে দলটির সমাবেশ পণ্ড হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জাপার দাবি, এ ঘটনায় তাদের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

পুলিশি বাধায় জাতীয় পার্টির নেতা–কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তখন রাস্তায় পড়ে থাকে দলীয় ফেস্টুন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

পুলিশ জানায়, জাতীয় পার্টিকে মৌখিকভাবে বলা হয়েছিল রাস্তা দখল না করে কর্মসূচি পালন করতে। কিন্তু তারা রাস্তার ওপর চেয়ার বসিয়ে মঞ্চ স্থাপন করে। কয়েকবার সতর্ক করা হলেও তারা শোনেনি।

অন্যদিকে, জাপা বলছে, সমাবেশ সম্পূর্ণ অযাচিতভাবে ভণ্ডুল করা হয়েছে। পুলিশ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে এমন আচরণ করেছে।

সমাবেশের জন্য আনা চেয়ারগুলো পড়ে আছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা কাকরাইলের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হচ্ছিলেন। তখন পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে। পুলিশ জলকামান থেকে পানি ছুড়ে এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করেছে।

বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কার্যালয়ের ফটক বন্ধ ছিল এবং সামনে পুলিশ অবস্থান করছিল। সমাবেশের জন্য আনা চেয়ার ও টেবিল সরিয়ে নিচ্ছিলেন ডেকোরেশনের কর্মীরা।

জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম বলেন, ‘সমাবেশে পুলিশ টিয়ারশেল ও ছররা গুলি ব্যবহার করেছে। এতে কেন্দ্রীয় নেতাসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।’

জাপার মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, 'এটি একটি শান্তিপূর্ণ এবং সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ছিল। সম্পূর্ণ অযাচিতভাবে সমাবেশ ভণ্ডুল করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে এমন আচরণ করেছে। আমাদের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ পেছন থেকে আক্রমণ করেছে, পানি ছিটিয়েছে, যার ফলে পদদলিত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। পুলিশের আচরণ দায়িত্বহীন ছিল।' 

বিকেলে কার্যালয়ের সামনে পুলিশের অবস্থান | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

পুলিশের রমনা জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, 'জাতীয় পার্টি আমাদের একটি আবেদন করেছিল, আমরা তা মঞ্জুর করিনি। এটা তো রাস্তা, তাই এখানে কর্মসূচি করা সম্ভব নয়। আমরা মৌখিকভাবে বলেছিলাম যেন তারা রাস্তা দখল না করে কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু তারা রাস্তার ওপর চেয়ারের মঞ্চ বসিয়েছে। আমরা কয়েকবার সতর্ক করেছি, রমনা থানার ওসি নিজে গিয়েও তাদের রাস্তা ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তারপরও তারা না সরে গেলে আমরা ছত্রভঙ্গ করার জন্য যা করতে প্রয়োজন ছিল, তা করেছি।' 

এর আগে রমনা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আশিকুর রহমান বলেন, 'জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে অনুমতি ছাড়া সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। তাই পুলিশ সেখানে সমাবেশ করতে দেয়নি।' 

এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ৩০ আগস্টও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছিল।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন