[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

শুক্রবার জুলাই সনদে স্বাক্ষর, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশঃ
অ+ অ-
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয় | ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া 

আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবেই। এটা এখন ঐকমত্য কমিশনের সনদের অংশ। আমরা যে ঘোষণা দিয়েছি, সেটা রক্ষা করতে হবে। এটা শুধু কথার কথা নয়। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে, আর সেটা হবে উৎসবমুখর।’

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আজ বুধবার রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’ বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা যেমন সবাই মিলে সনদ তৈরি করেছেন, আমাদের সরকারের কাজ হলো সবাই মিলে উৎসবমুখর নির্বাচনটি সম্পন্ন করা। তাহলেই আমাদের দায়িত্ব পূর্ণ হবে।’ 

ইউনূস জানান, রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশনকে ধন্যবাদ জানাতেই তিনি এ বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে সন্তোষজনকভাবে এর সমাপ্তি আনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে কৃতজ্ঞ। তাঁর ভাষায়, ‘আপনারা যে অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন, সেটা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসেও উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে।’

জুলাই সনদ রচনাকে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান–পরবর্তী অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর এটাই আমার মনে হয় সঠিকভাবে রচিত পরবর্তী অধ্যায়। আমরা যে সংস্কারের কথা মুখে বলে যাচ্ছিলাম, আপনারা সেই সংস্কার বাস্তবে করে দেখিয়েছেন। জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অনুষ্ঠান তাই হবে জাতির এক বড় উৎসব।’

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই সনদে যে কলম দিয়ে স্বাক্ষর করা হবে, সেগুলো জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। মানুষ এগুলোকে কখনো ভুলবে না। তিনি বলেন, ‘এটা এমন এক ঘটনা, যার ভেতরে থেকে আমরা এখনো এর বিশালতা পুরো বুঝতে পারছি না। মাসের পর মাস বৈঠক হয়েছে, মাঝেমধ্যে হতাশাও এসেছে—মনে হয়েছে, হয়তো এটা শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হবে না। কিন্তু সেটা হয়নি। জুলাই সনদ জাতির জন্য এক বড় সম্পদ হয়ে রইল।’

তিনি আরও বলেন, যে দলিলগুলো তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো হারিয়ে যাবে না। এগুলো সহজ ভাষায় মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হবে, যেন সবাই বুঝতে পারে কেন এই ঐক্যমত্যে পৌঁছানো হয়েছে। সরকার হিসেবে জুলাই সনদ প্রচারের দায়িত্ব তাদের।
 

ইউনূস জানান, আলোচনায় যে বিতর্কগুলো হয়েছে, সেগুলো বিষয়ভিত্তিকভাবে ভিডিও ও বই আকারে সংরক্ষণ করা হবে। যেন ভবিষ্যতে এগুলো হারিয়ে না যায়, বরং সম্পদ হিসেবে থাকে। যাতে সবাই জানতে পারে, কেমন একটি জাতি গড়ার লক্ষ্যে এই কাজগুলো করা হয়েছে।

সনদ ও নির্বাচন আলাদা কিছু নয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, উত্তরণের পথ কী হবে—এই প্রশ্নের উত্তরও জুলাই সনদেই আছে। রাজনৈতিক দলগুলো যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই অনুযায়ী রূপান্তর প্রক্রিয়া এগোবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে, আপনারা যে পরিশ্রম করে এই সনদ তৈরি করেছেন, সেটা আমরা বাস্তবে রূপ দিতে পারি—নির্বাচনের মাধ্যমে এবং আমাদের দৈনন্দিন রাজনৈতিক কাজের মাধ্যমে। এটাই আমাদের আশা। আগামী শুক্রবার আমরা সেই আশাকে সারা জাতির সামনে তুলে ধরব।’

১৭ অক্টোবরের জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান নিয়ে ইউনূস বলেন, ‘আমরা উৎসবমুখরভাবে সেখানে যাব, এই দলিলে সই করব এবং উৎসব করব। সারা জাতি এতে শরিক হবে। আপনারা যারা সরাসরি সই করবেন, তারা সামনের সারির মানুষ। কিন্তু দেশের প্রতিটি মানুষ মন থেকে আপনাদের সঙ্গে সই করছে। জাতির জন্য এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন