গাইবান্ধায় খাদ্য কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে দরপত্র বাক্স ভাঙচুর
![]() |
| ভাঙচুর হওয়া দরপত্র বাক্স। মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে খাদ্য কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে দরপত্র বাক্স ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাক্সে জমা দরপত্রের অনেক আবেদন ছিঁড়ে তছনছ হয়ে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার (পরিবেশক) নিয়োগের দরপত্রের শেষ দিনে এই ঘটনা ঘটে।
পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলার দশটি ইউনিয়নে ১০ জন পরিবেশক নিয়োগের জন্য ৭ অক্টোবর দরপত্র আহ্বান করা হয়। এরপর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার কক্ষের সামনে দুটি দরপত্র বাক্স রাখা হয়। মঙ্গলবার বেলা দুইটায় দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারিত ছিল। বেলা তিনটায় লটারির মাধ্যমে পরিবেশক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু দুপুর ১২টার দিকে ১০–১২ জনের একটি দল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে প্রবেশ করে। তারা খাদ্য কর্মকর্তাকে কক্ষে আটকে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর দুটি দরপত্র বাক্স ভাঙচুর করে। এতে শতাধিক দরপত্রের আবেদন ছিঁড়ে তছনছ হয়ে যায়। ঘটনার কারণে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পলাশবাড়ী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার দে মুঠোফোনে বলেন, ‘দুর্বৃত্তদের এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। তারা ঘটনার আগে সিসিটিভি ক্যামেরা অকার্যকর করে রেখেছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’
পলাশবাড়ী উপজেলা অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা গাইবান্ধা সদর ইউএনও মাহমুদ আল হাসান বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। দ্রুত দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দরপত্র বাতিল করে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হবে।’
পলাশবাড়ী থানার ওসি জুলফিকার আলী মুঠোফোনে জানান, ‘উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ১০–১২ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন