[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

রাজশাহীতে তৃতীয় দিনের মতো দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ, যাত্রীরা ভোগান্তিতে

প্রকাশঃ
অ+ অ-

দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। আজ রোববার সকালে রাজশাহীর শিরোইল বাস টার্মিনালে এসে ফিরে যাচ্ছেন যাত্রীরা  | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর জেলায় তৃতীয় দিনের মতো দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় বাস মালিক সমিতি। ফলে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

আজ রোববার সকাল থেকেও কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। যাত্রীরা বাসস্ট্যান্ডে এলেও বাস না পেয়ে কেউ ফিরে যাচ্ছেন, আবার কেউ বিকল্প গাড়িতে রওনা হচ্ছেন।

যাত্রীদের অভিযোগ, মালিক–শ্রমিকদের দ্বন্দ্বের কারণে তাঁদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে অনেককে ভেঙে ভেঙে বিভিন্ন গাড়িতে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়া এমন ধর্মঘটের কারণে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে এবং সময়ও বেশি লাগছে।

বাসমালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৭ সেপ্টেম্বর বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে পরিবহনশ্রমিকেরা এই তিন জেলা থেকে দূরপাল্লার বাস চালানো বন্ধ করে দেন। দুই দিন পর মালিকপক্ষের আশ্বাসে তাঁরা আবারও বাস চালু করেন। তবে বেতন-ভাতা প্রত্যাশিত পরিমাণে না বাড়ায় ২২ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে আবারও কর্মবিরতি শুরু করেন শ্রমিকেরা। ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল পর্যন্ত একতা ট্রান্সপোর্ট ছাড়া অন্য কোনো দূরপাল্লার বাস চলেনি। পরে বেতন বাড়ানো হলেও শ্রমিক-মালিক দ্বন্দ্ব অব্যাহত থাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে নতুন করে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

আজ সকালে নগরের শিরোইল এলাকার ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে ঢাকাগামী যাত্রীদের অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। বাস না পেয়ে অনেকে প্রাইভেট কারে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। পবার নওহাটা এলাকার যাত্রী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ঢাকায় যাওয়া জরুরি। ট্রেনের টিকিট পাইনি। বাসও বন্ধ। এখন ভেঙে ভেঙে যেতে হবে।’

সিরাজগঞ্জগামী এক বাসে ওঠা যাত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘রাজশাহী থেকে সরাসরি ঢাকার বাস যাচ্ছে না। এই বাসে সিরাজগঞ্জ গিয়ে সেখান থেকে ঢাকার বাসে উঠব। খরচ ও ভোগান্তি দুটোই বাড়বে।’

উত্তরবঙ্গ বাস মালিক সমিতির মহাসচিব নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় পরিবহন নেতাদের সঙ্গে গত রাতে বসার কথা ছিল। তবে একজন নেতা অসুস্থ থাকায় বসা হয়নি। আজ বসা হবে। সেখানেই বিষয়টির সুরাহা হবে।

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় এক সভায় প্রায় এক যুগ পর পরিবহনশ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রাতে সেই চুক্তি অনুযায়ী মালিকেরা টাকা না দিয়ে উল্টো পরিবহন ধর্মঘট ডাকেন। আগে একজন চালক ঢাকা রুটে এক ট্রিপ দিয়ে আসার পর ১ হাজার ২৫০ টাকা পেতেন। এখন সেটি বাড়িয়ে ১ হাজার ৭৫০ টাকা করা হয়েছিল। সভায় রাজি হলেও এখন মালিকেরা সেই টাকা দিচ্ছেন না। বরং পরিবহন বন্ধ রেখেছেন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন