{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

যশোরে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে হামলায় সিআইডির ৪ সদস্য আহত

প্রকাশঃ
অ+ অ-

যশোরে অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন সিআইডি পুলিশের চার সদস্য। বুধবার সন্ধ্যায় যশোরের রাজারহাট মোড় এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

যশোরে ‘মাদকবিরোধী’ অভিযানে গিয়ে হামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) চার সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম নামের এক কনস্টেবলকে গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় যশোরের রাজারহাট মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে একটি এবং মাদক ব্যবসার অভিযোগে পৃথক আরেকটি মামলা করেছে পুলিশ। সিআইডির বিরুদ্ধে ইয়াবা বড়ি দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ করা হলেও অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংস্থাটি।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত বলেন, এ ঘটনায় সিআইডির একজন উপপরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে একজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল সন্ধ্যায় সিআইডির এসআই হাবিব, এসআই তরিকুল ইসলাম, এএসআই মো. জাহিদ হোসেন ও কনস্টেবল শহিদুল ইসলামকে নিয়ে গঠিত একটি দল রাজারহাট এলাকায় অভিযান চালায়। তারা ওই এলাকার মাসুদ রানার ছেলে তুষারকে ‘কাশ্মীরি বিরিয়ানি হাউস’ নামের একটি দোকানে নিয়ে যায়। সেখানে তল্লাশি করে তাঁর কাছ থেকে ২০টি ইয়াবা বড়ি পাওয়ার দাবি করে সিআইডি। এ সময় তুষার সিআইডি সদস্যদের ‘ভুয়া পুলিশ’ বলে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয় কয়েকজন পুলিশের ওপর হামলা করেন। পরে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

রাজারহাট এলাকার চায়ের দোকানদার মোতাহার হোসেন জানান, কাশ্মীরি বিরিয়ানি হাউসের সামনে থেকে মারামারি করতে করতে তাঁর দোকানের সামনে চলে আসেন তাঁরা। সিআইডি পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা সাদাপোশাকে ছিলেন। তাঁরা যখন তুষারকে ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তুষার ‘ভুয়া সিআইডি পরিচয়ে আমার টাকা-মোবাইল নিয়ে যাচ্ছে’ বলে বাঁচানোর আকুতি জানাচ্ছিলেন। তখন কিছু লোক উত্তেজিত হয়ে তাঁদের ওপর হামলা শুরু করে। এ সময় সিআইডির দুজন পালিয়ে যান এবং অন্য দুজনকে বেধড়ক পেটানো হয়। পরে পুলিশ এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, তুষারের নামে আগে মাদকের কোনো মামলা নেই। তবে মারামারিসহ কয়েকটি মামলা আছে। সিআইডি সদস্যদের দাপ্তরিক কোনো পোশাক থাকলে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটত না।

অন্যদিকে অভিযুক্ত তুষারের দাবি, ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করায় মারামারি সূত্রপাত হয়। তাঁকে একটি ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, হঠাৎ দুই ব্যক্তি তাঁকে ধরে হোটেলের ভেতর নিয়ে যায়। এরপর পকেটে কী জানতে চাইলে তিনি দুটি ফোন ও নগদ পাঁচ হাজার টাকা বের করে দেন। একপর্যায়ে ওই দুজনের একজন ফোন ও টাকা নিয়ে চলে যেতে গেলে তিনি প্রতিবাদ করেন। এ সময় একজন তাঁর হাতে থাকা একটি পোঁটলা দেখিয়ে বলে ‘তোর কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে’। এ সময় তিনি তাঁকে ঘুষি মারলে স্থানীয় লোকজনও মারধরে অংশ নেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে যশোর সিআইডি পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপার সিদ্দিকা বেগমের দাপ্তরিক মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অন্য সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পুলিশ অভিযানে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছে। তারা কাউকে অহেতুক ফাঁসাতে যাবে কেন? অভিযুক্ত তুষারের বিরুদ্ধে মামলাও আছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা ও মাদক ব্যবসার অভিযোগে তুষারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনের নামে মামলা করা হয়েছে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন