ঈশ্বরদীতে একাডেমিক সুপারভাইজরের দায়িত্বে উদাসীনতা
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে সম্পর্ক ব্যবহার করে শিক্ষা কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাদের ওপর প্রভাব ফেলেনমো. আরিফুল ইসলাম | ছবি: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন |
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, বছরে দু’একবারই তিনি স্কুলে গিয়ে কাগজে স্বাক্ষর করেন। এভাবেই তিনি সক্রিয়তার ছাপ দেখান। তবে সরাসরি অভিযোগ করার জন্য তারা সাহস পাচ্ছেন না।
কয়েকজন প্রধান শিক্ষক বলেন, একাডেমিক সুপারভাইজারের মূল কাজ হলো স্কুলগুলোতে সরকারি নিয়ম মেনে কার্যক্রম চালানো। কিন্তু আরিফুল ইসলাম নিয়ম মানছেন না। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে সম্পর্ক ব্যবহার করে শিক্ষা কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাদের ওপর প্রভাব ফেলেন এবং নিজের মতো কাজ করেন।
উপজেলা সদরের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক জানান, ‘এক মাস তো দূরের কথা, বছরের অধিকাংশ সময়ই তিনি বিদ্যালয়ে আসেননি।’
মাদ্রাসার প্রধান বলেন, ‘যে দায়িত্বে তিনি আছেন, তা পুরোপুরি পালন করছেন না। ফলে অনেক কাজ অসম্পূর্ণ থাকে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এসব মিথ্যা। আমি গত মাসে ছয়-সাতটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছি।’ তবে দুটি প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিলে তার পরিদর্শনের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিষয়টি যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন