{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

সত্যি কি ‘মণিহার’ বন্ধ হচ্ছে?

প্রকাশঃ
অ+ অ-
মণিহার সিনেমা হল | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

বাংলাদেশের বৃহত্তম সিনেমা হল ‘মণিহার’। চার দশক আগে হলটির যাত্রা শুরু হয়। সম্প্রতি জানা গেছে, হলটি ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসায় ক্রমাগত লোকসানে হলটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিকপক্ষ।

মণিহার সিনেমা হলের ব্যবস্থাপক ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘মালিকপক্ষ অনেক দিন ধরে হলটি ভাঙার পরিকল্পনা করছিল। তবে আমরা বলে বলে এত দিন এনেছি। কিন্তু এখন চোখে অন্ধকার ছাড়া কিছুই নেই। এ মাস পর্যন্ত চিন্তাভাবনা করছে মালিকপক্ষ, হয়তো এরপর এটি ভেঙে ফেলা হবে।’

ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আগে সিঙ্গেল স্ক্রিন ছিল, সবাই বলত ভালো পরিবেশ দিলে দর্শক হলে আসবে। এরপর মাল্টিপ্লেক্স করা হয়। এখন সিনেমা যদি না থাকে, ভালো পরিবেশ দিয়ে কী করব আমরা। মাসে অন্তত একটা ভালো ছবি থাকলেও টিকে থাকা যায়। কিন্তু পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, শুধু আমরা কেন, সব হলমালিকই ব্যবসা বন্ধ করে দেবেন।’

চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য মালিকপক্ষ সরকারের দিকে তাকিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সাফটা চুক্তির আওতায় সিনেমা আমদানি না করতে পারলে হল টিকবে না। দুই ঈদ দিয়ে তো আর বছর চলে না। মাসের আজ ১৮ তারিখ, স্টাফের বেতন থেকে বিদ্যুৎ বিল; কোথা থেকে এনে দেব আমরা?’

 মণিহার ভাঙা হলেও মণিহার সিনেপ্লেক্স থাকবে বলে জানিয়েছেন ফারুক আহমেদ। তিনি জানান, ভাঙার পর সেখানে তৈরি মার্কেটেও মাল্টিপ্লেক্স রাখার পরিকল্পনা রয়েছে মালিকপক্ষের। 

১৯৮৩ সালে সোহেল রানা-সুচরিতা অভিনীত ও দেওয়ান নজরুল পরিচালিত ‘জনি’ সিনেমা দিয়ে যাত্রা শুরু করে দেশের সর্ববৃহৎ সিনেমা হল মণিহার। যাত্রার শুরু থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত ১ হাজার ৪৩০ আসনের মণিহারে দিনে চারটি শোতেই নামত দর্শকের ঢল। কিন্তু নব্বইয়ের দশকের পর দর্শক-খরার কারণে প্রদর্শন ব্যবসায় শুরু হয় মন্দা। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন