[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ভাড়া বাসা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী-মায়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশঃ
অ+ অ-

নিহত তাহমিনা বেগম এবং তার মেয়ে সুমাইয়া আরফিন | ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা নগরের ভাড়া বাসা থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ও তাঁর মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ বলছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

আজ সোমবার সকাল সাতটার দিকে নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়াজুরী এলাকার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার ভাড়া বাসা থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি টের পান নিহতের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. মাহিনুল ইসলাম।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন, কুমিল্লা নগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর এলাকার প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্ত্রী তাহমিনা বেগম (৫২) ও তাঁর মেয়ে সুমাইয়া আফরিন (২৩)।

কুমিল্লা নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালিয়াজুরী এলাকার এই ভবনের দ্বিতীয় তলার ভাড়া বাসা থেকে মা ও তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে তোলা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

নিহত সুমাইয়া আফরিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে পড়তেন। প্রায় চার বছর ধরে কালিয়াজুরী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তাঁরা। তাহমিনা বেগম দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী।

নিহতের বড় ছেলে আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ফয়সাল বলেন, ‘রোববার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে বাসায় এসে দেখি দরজা খোলা। একটি টুল দিয়ে দরজা মিলিয়ে রাখা হয়েছে। ভেতরে প্রবেশ করে দেখি লাইট বন্ধ। লাইট অন করতেই দেখি বোনের কক্ষে তাঁর নিথর দেহ পড়ে আছে আর মায়ের কক্ষে মায়ের নিথর দেহ। আমরা জানি না কে বা কারা আমার মা ও বোনকে হত্যা করেছে। আমি সঠিক তদন্ত এবং খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমাদের তেমন কোনো শত্রু ছিল না। কারা এভাবে আমাদেরকে নিঃস্ব করল জানি না।’

পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে নিহত সুমাইয়ার বড় ভাই জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আজ সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে কীভাবে তাঁদের হত্যা করা হয়েছে সেটি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে তাঁদের শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। আমরা পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি। নিহত ব্যক্তিদের বাসায় তেমন কিছু খোয়া যায়নি।’

ওসি আরও বলেন, ‘নিহত ব্যক্তিদের শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। মেয়েটির গলায় একটি দাগ দেখা গেছে। আর মায়ের একটি চোখ রক্তাক্ত ছিল। যেই ভবনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেই ভবনের নিচতলায় একটি স্কুল ছিল। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি, সেটি বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে।’

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন