রোমান্টিক গল্পে জুটি হলেন নাঈম ও সুনেরাহ
যৌথ প্রযোজনায় এটি নির্মাণ করেছে আলফা–আই এবং চরকি | চরকির সৌজন্যে |
নতুন ওয়েব কনটেন্টে অভিনয় করেছেন এফ এস নাঈম। ‘খুব কাছেরই কেউ’ নামের এই কনটেন্টকে বলা হচ্ছে ফ্ল্যাশ ফিকশন। এতে নাঈমের সহশিল্পী সুনেরাহ বিনতে কামাল। রোমান্টিক ঘরানার কনটেন্টটি পরিচালনা করেছেন সুরকার, গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী আরাফাত মহসিন নিধি। এটি তাঁর দ্বিতীয় নির্মাণ।
খুব কাছেরই কেউ ফ্ল্যাশ ফিল্মের গল্প, সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন রাবা খান। তিনি জানান, দুজন অপরিচিত মানুষের পরিচিত হওয়ার গল্প এটি। গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে এক জোড়া তরুণ-তরুণী, যারা অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের দিকে আগাচ্ছে। বিয়ের আগের ও বিয়ের দিনের কিছু ঘটনা দিয়ে সাজানো হয়েছে কাহিনি। একসময় তারা বুঝতে পারে, কখনো কখনো সত্যিকারের সম্পর্কও খুঁজে পাওয়া যায়, তা যেভাবেই গড়ে উঠুক না কেন।
![]() |
ফিকশনটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল ও এফ এস নাঈম | চরকির সৌজন্যে |
খুব কাছেরই কেউ ওয়েব কনটেন্টে সুনেরাহ অভিনয় করেছেন জেরিন চরিত্রে। তিনি জানান, তাঁর চরিত্রটি চঞ্চল, স্পষ্টবাদী ও স্বাধীনচেতা। অনেকটা ব্যক্তি সুনেরাহর মতো। অভিনেত্রী বলেন, ‘গল্পটি আমার খুব কাছের। এর গল্পকার ও নির্মাতা আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু। তবে কাজটা কিন্তু বন্ধুত্বের খাতিরে করিনি। ভালো লেগেছে বলে করেছি।’
রাকিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন এফ এস নাঈম। তিনি বলেন, ‘গল্পটিতে তরুণ-তরুণীর সংলাপ, তাদের বোঝাপড়া দর্শকদের ভালো লাগবে। যে মুহূর্তগুলো দেখানো হয়েছে, তা আমরা সবাই কমবেশি ফেস করি। তবে যার যার মতো করে ফেস করে। আমরা যেটা দেখাতে চেষ্টা করেছি, সেটা সবাই পছন্দ করবেন আশা করি।’
খুব কাছেরই কেউ-এর মাধ্যমে পরিচালনায় ফিরেছেন আরাফাত মহসিন নিধি। তিনি জানান, এটি তাঁর দ্বিতীয় ফিকশন। ২০১২ সালে তিনি প্রথম নির্মাণে এসেছিলেন। এরপর বিজ্ঞাপন বানিয়েছেন। তবে সংগীত পরিচালক হিসেবেই বেশি জনপ্রিয় তিনি। এখন থেকে কাহিনিচিত্র নির্মাণেও সময় দিতে চান।
১০ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিটে (১১ সেপ্টেম্বর) খুব কাছেরই কেউ কনটেন্টটি প্রকাশ পেয়েছে চরকিতে। এতে আরও অভিনয় করেছেন পায়েল, মাহেরা ইনায়া কামাল, ফাহাদ রিয়াজ খান, আলিফ খান, আসিকুজ্জামান অনিক প্রমুখ।
খুব কাছেরই কেউ-এর মাধ্যমে প্রথমবার দর্শকদের জন্য ফ্ল্যাশ ফিকশন নিয়ে এল চরকি। প্ল্যাটফর্মটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ফ্ল্যাশ ফিকশন মূলত জীবনের কিছু মুহূর্তের নান্দনিক বা সিনেম্যাটিক বর্ণনা। এটাকে স্লাইস অব লাইফও বলা যেতে পারে। এ ধরনের কনটেন্টে জীবনের ছোট ছোট ঘটনা উঠে আসবে। ব্যাপ্তির দিক থেকেও ফ্ল্যাশ ফিকশন ছোট, কিন্তু এর প্রভাব অনেক গভীর।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন