{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

‘আই লাভ ঈশ্বরদী’ নামফলক উদ্বোধন

ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য এটি হবে ছবি তোলার নতুন আকর্ষণকেন্দ্র।
প্রকাশঃ
অ+ অ-

পদ্মার সৌন্দর্য আরও বাড়াতে সাঁড়া ঘাটে স্থাপন করা হয়েছে নতুন নামফলক 'আই লাভ ঈশ্বরদী'।  পর্যটকদের কাছে এখন আকর্ষণের নতুন জায়গা। রোববার বিকেলে | ছবি: সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর সাঁড়া ঘাট এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে নতুন নামফলক—‘আই লাভ ঈশ্বরদী’। ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য এটি হবে ছবি তোলার নতুন আকর্ষণকেন্দ্র।

রোববার সন্ধ্যায় ফিতা কেটে এর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাস। পর্যটনকেন্দ্রটিকে সাজাতে দুই পাশে নির্মাণ করা হয়েছে দুটি গোলঘর—একটির নাম ‘সাঁঝের মায়া’, অন্যটির নাম ‘গৌধুলী’। পাশাপাশি আধুনিক শৌচাগার, সড়ক সংস্কারসহ অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে।

ফিতা কেটে উদ্বোধন করছেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাস | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

প্রবীণ ও স্থানীদের ভাষ্য, ঈশ্বরদী শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে পদ্মা নদীর তীরে সাঁড়া ঘাট একসময় ছিল পাবনার ব্যস্ত বাণিজ্যকেন্দ্র। ব্রিটিশ আমলে এখানে ভিড়ত নানা আকারের জাহাজ ও স্টিমার। এ ঘাটকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে সাঁড়া ঘাট রেলওয়ে স্টেশন, মারোয়ারি উচ্চবিদ্যালয়, পানহাট ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। সে সময় এখান থেকে দার্জিলিং, শিলংসহ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে ট্রেন চলাচল করত। কয়লা চালিত স্টিম ইঞ্জিনের শব্দ শুনতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষেরা ছুটে আসত রেললাইনের ধারে। এক টাকায় এক ডজন বড় ইলিশ মিলত, যার গন্ধে ভরে থাকত চারপাশ। ঘাটের গুরুত্বে গড়ে ওঠে সাঁড়াব্রিজ ও পাকশী শহর। 

কিন্তু পদ্মা নদীর ভাঙন ও ১৯১৫ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ চালু হওয়ার পর সাঁড়া ঘাট রেলওয়ে ফেরি ও স্টেশন ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এখন এটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত, যেখানে স্থানীয় মানুষজনের পাশাপাশি বাইরের দর্শনার্থীরাও পদ্মার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন।  

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রথম ধাপে সাড়ে তিন লাখ টাকার কাজ সম্পন্ন হয়। পরে উপজেলা উন্নয়ন তহবিল থেকে দ্বিতীয় ধাপের কাজ শেষ করা হয় নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান সরকার, পৌর সচিব জহুরুল হক, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন, মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মমিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার আরিফুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফজলুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব মেহেদী হাসান ও সাপ্তাহিক ঈশ্বরদী পত্রিকার সম্পাদক সেলিম সরদারসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন