{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

প্রশাসন থেকে ‘আওয়ামী চেতনাধারীদের’ সরানোর দাবি হেফাজতের

প্রকাশঃ
অ+ অ-

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। ঢাকা, ০২ সেপ্টেম্বর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনে থাকা আওয়ামী চেতনা লালনকারীদের অপসারণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, বৈঠকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন। তাঁরা আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর এবং সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের কথা বলেছেন।

হেফাজতে ইসলামের এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে আল্লাহর ওপর আস্থা এবং বিশ্বাসকে সংবিধানের মূলনীতিতে পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি জুলাই সনদে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের গণহত্যাকে রাখার জন্য দাবি জানিয়েছেন।

মাওলানা আজিজুল হক বলেন, ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় হাজার হাজার আলেমদের বিনা কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের অবদানকেও জুলাই সনদে সংযোজন করার দাবি জানিয়েছেন।

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের ওপর হামলাকে ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে এই হেফাজত নেতা বলেন, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য তাঁরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনাকে কওমি জননী উপাধি দেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাওলানা আজিজুল হক বলেন, ‘আপনাদের জানা দরকার হেফাজতে ইসলাম কোনো সময় হাসিনাকে কওমি জননী উপাধি দেয়নি। কওমি মাদ্রাসার বোর্ডের পক্ষ থেকে হাসিনার লালিত একজন মাওলানা রব আমিন এ উপাধি দিয়েছেন।’

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন