[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

অনিয়ম–সিন্ডিকেট সরকার একা রুখতে পারবে না, সবার উদ্যোগ জরুরি: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

প্রকাশঃ
অ+ অ-

রংপুরে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

হাসপাতালে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সিন্ডিকেট নিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ‘এটা কি সরকারের একার দায়িত্ব? সিন্ডিকেট করে কারা? আপনার এলাকার মানুষই করছে কিংবা হাসপাতালের লোকজন মিলেই তো করছে। নাগরিক হিসেবে এটা আপনারও দায়িত্ব, হাসপাতালের দায়িত্ব। সবাই মিলে কাজটা করতে হবে।’

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। এ সময় তিনি বিভিন্ন ইউনিট ঘুরে দেখেন এবং রোগীদের শারীরিক অবস্থা ও স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে খোঁজ নেন। পরে সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘হাসপাতাল যদি চেষ্টা করে আমার লোকজনকে আমি দমন করলাম। বাকিদের কি দমন করতে পারবে? পারবে না। এ জন্য দরকার নাগরিক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সবাই সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়ানো। নাগরিক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবাই মিলে রুখে দাঁড়ান, তাহলে সম্ভব।’

অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ‘এই অ্যাম্বুলেন্স কার? আপনার, আমার কর্মীর, আমার, নানাজনে মিলেই তো করছে। এটা থেকে যদি বেরিয়ে আসতে হয়, তাহলেও ওই সিদ্ধান্তটাই লাগবে। এখন আমি বন্ধ করতে গেলাম, চাপ এল এখান থেকে, ওখান থেকে, নানান দল, নানান মত, নানান পথ। এটা কি ইন্টারিম গভর্নমেন্টের পক্ষে সম্ভব?’

কেনাকাটায় অনিয়ম বন্ধে ই–জিপির মাধ্যমে কেনাকাটার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘যা কেনাকাটা, এখন ই–জিপির মাধ্যমে হবে। আমাদের কোনো কেনাকাটা নিজেরা নিজেরা কিনতে পারবে না। এটা আমরা একদম স্ট্রিকলি বন্ধ করে দিয়েছি। ই–জিপির মাধ্যমে যখন কেনাকাটা হয়, তখন কিন্তু চুরিচামারির যে অভিযোগ, সেগুলো একেবারে বন্ধ হবে না, সেটা বলব না। এটা বাংলাদেশ তো। কিছু হয় তো হবে, আমি মনে করি যে ৯৯ ভাগ বা ৯৮ ভাগ ঠিক করা যাবে। কাজেই নাগরিক সমাজসহ আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে নিজের মধ্যে সংস্কার আনা।’

দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে প্রায় ১০ হাজারের মতো চিকিৎসক–সংকট আছে জানিয়ে উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ‘আমাদের প্রায় ১০ হাজারের মতো ডক্টর শর্ট আছে। এই ডক্টর কী একদিনে শর্ট হইছে, নাকি আমরা আসার পর? এটা তো দীর্ঘদিন ধরে শর্ট আছে। আমি চাইলে কি এমবিবিএস ডাক্তার বানাতে পারব? পারব না। চাইলে কি ডাক্তার হওয়া যায়, যায় না। ডাক্তার নিতে হলে যেটা দরকার, সেটা হলো বিসিএস পাস করা। তিন বছর লাগে একটা ব্যাচ নিয়ে আসতে। এটাকে আমরা বিশেষ বিসিএস হিসেবে নিয়েছি।’

নার্স নিয়োগের বিষয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘১০ হাজারের ওপরে নার্সের ঘাটতি রয়েছে। আমরা সাড়ে তিন হাজার নার্স নিয়েছি। সাড়ে তিন হাজারের কেউ বলতে পারবে না পোস্টিংয়ের সময় এক টাকা চুরিচামারি হয়েছে। আমরা একটু একটু করে চেষ্টা করছি।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফর, রংপুরের সিভিল সার্জন শাহীন সুলতানা ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. হামদুল্লাহ। তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা রংপুরের উদ্দেশে রওনা দেন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন