ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: ভিপি প্রার্থী আবিদুল
![]() |
| বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’সহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এটি নিঃসন্দেহে নির্বাচনী পরিবেশের জন্য হুমকি বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।
আজ শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে জুমার নামাজ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই অভিযোগ তুলে ধরেন। পরে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
আবিদুল ইসলাম খান বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) মধুর ক্যানটিনের সামনে এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, ছাত্রদলের প্যানেল অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ, দলের অভ্যন্তরীণ ভোটের মাধ্যমে তাঁরা প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতো তাঁদের দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও ইচ্ছা করলেই নির্বাচন করতে পারতেন। তাঁরাও সবাই বর্তমান শিক্ষার্থী। কিন্তু শিক্ষার্থীদের চাহিদার কথা ভেবে তাঁদের সামনে এগিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের গ্রুপে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
অপপ্রচার নির্বাচনী পরিবেশের জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেন ছাত্রদল প্যানেলের এই ভিপি প্রার্থী। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদসহ সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এটি নিঃসন্দেহে নির্বাচনী পরিবেশের জন্য হুমকি। অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তাঁদের দেওয়া প্রকৃত ঘটনার পোস্ট ডিলিট করে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাংগঠনিকভাবে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করছে।
আবিদুল ইসলাম খান মিথ্যা প্রচারণা না চালিয়ে রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি অপপ্রচার চালিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কার্জন হলের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবিদুল ইসলাম খান বলেন, কার্জন হল, মোতাহার হোসেন ভবন, মোকাররম ভবনে ক্যানটিন সমস্যা থেকে শুরু করে অনেক সমস্যা আছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। ছাত্রদল প্যানেল প্রতিজ্ঞা করছে, নির্বাচিত হলে কার্জন হলকেন্দ্রিক যত সমস্যা আছে, সমাধান করা হবে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা ২১ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত কেউ হল কিংবা ক্যাম্পাসে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। এই সময়ের মধ্যে প্রচারণা চালালে তা ডাকসু নির্বাচনের আচরণবিধি ভঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হবে। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী ২৬ আগস্ট থেকে প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা এখনো আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করিনি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছি।’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন