{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

অবশেষে কোয়াবের বহুপ্রতীক্ষিত নির্বাচন

প্রকাশঃ
অ+ অ-

কোয়াবের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন আহ্বায়ক সেলিম শাহেদ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০২৩ সালে। তবে সেটাও নামমাত্র। সভাপতি নাঈমুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পালসহ পুরো কমিটিই নির্বাচিত হয়েছিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

কোয়াবের নির্বাচন মানেই অবশ্য এমন। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সব সময় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ই নির্বাচিত হয়ে আসছে কমিটি। সর্বশেষ সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদক তো দায়িত্বে ছিলেন ১৪ বছর! তবে অবশেষে কোয়াব আবারও নির্বাচনের পথে যাচ্ছে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর হবে বহুপ্রতীক্ষিত সেই নির্বাচন।

গত বছরের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত মার্চে নাঈমুর ও দেবব্রত দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালে ১৩ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে একাডেমি ভবনে কোয়াবের এক সভা শেষে কমিটির আহ্বায়ক সেলিম শাহেদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। সভায় কমিটির সদস্যরা ছাড়াও ছিলেন বর্তমান জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন, মুমিনুল হক, নুরুল হাসান, তাইজুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিঠুন, এনামুল হকসহ আরও অনেকে।
 
কোয়াবের নির্বাচনের জন্য তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে আজকের সভায়। বিসিবি পরিচালক ও সাবেক ক্রিকেটার ইফতেখার রহমানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে গঠিত নির্বাচন কমিশনের অন্য দুই সদস্য জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাসির আহমেদ ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। হাবিবুল বাশার নির্বাচন কমিশনে আহ্বায়ক কমিটির প্রতিনিধিত্ব করবেন।

কোয়াবের আজকের বৈঠকে ছিলেন বর্তমান ক্রিকেটাররা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

কোয়াবের সদস্য যাছাই-বাছাইয়ের কাজও করবে তিন সদস্যের এই কমিটি। সভার পর সাংবাদিকদের সেলিম শাহেদ জানান, জাতীয় দলের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা কোয়াবের সদস্য হতে পারবেন। এ ছাড়া নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা দিয়ে প্রথম শ্রেণির সাবেক ক্রিকেটাররা পারবেন আজীবন সদস্য হতে।

সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান ক্রিকেটারদের প্রতিনিধি হিসেবে কথা বলেন মোহাম্মদ মিঠুন। এত দিন কোয়াবের নেতৃত্বের ওপর ভরসা রেখে আশাভঙ্গ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। মিঠুন বলেন, ‘ক্রিকেটটা যেহেতু আমাদের, ক্রিকেট সামনের দিকে না এগোলে দায়বদ্ধতাও আমাদের। পুরো আলোচনার পরে আমাদের প্রতিটা খেলোয়াড় যে যেখান থেকে পেরেছে, তাঁদের পরামর্শ দিয়েছে। আমাদের মধ্যে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রথম বিভাগের ক্রিকেটারদের প্রতিনিধিরাও, শোনা হয়েছে সব পর্যায়ের ক্রিকেটারদের সমস্যার কথাই।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন