প্রতিনিধি সখীপুর
![]() |
গ্রেপ্তার | প্রতীকী ছবি |
টাঙ্গাইলের সখীপুরে সন্তানদের সামনে স্ত্রীর পিঠে ছুরিকাঘাত করে পালানো স্বামী মেহেদী হাসান (৩৫) র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত ৯টায় গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন সকালে পৌরসভার জেলখানা মোড় এলাকায় ভাড়া বাসায় স্বামীর হাতে কাকলি আক্তার (৩০) নামের ওই গৃহবধূ খুন হন।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ভাই বাদল মিয়া বাদী হয়ে মেহেদী হাসানকে আসামি করে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। নিহত কাকলী আক্তার উপজেলার মুচারিয়া পাথার গ্রামের আবদুস সবুরের মেয়ে। তাঁর স্বামী মেহেদী হাসান উপজেলার ইছাদিঘী গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সুমন বলেন, আসামিকে আজ সোমবার দুপুরে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মাস ছয়েক আগে ওই দম্পতি সখীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জেলখানা মোড় এলাকায় বাসা ভাড়া নেন। গতকাল সকাল ৯টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে ছেলেমেয়েদের সামনেই একটি ছুরি নিয়ে স্ত্রীর পিঠে আঘাত করেন মেহেদী। এরপর তিনি পালিয়ে যান। ছেলেমেয়েদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত কাকলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক কাকলিকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেহেদী-কাকলি দম্পতির মেয়ে মেরি আক্তার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে বলে, ‘ঝগড়া বিবাদের এক পর্যায়ে আমি ও আমার ছোট ভাইয়ের সামনেই বাবা একটি ছুরি হাতে নিয়ে আমার মায়ের পিঠে উপর্যুপরি আঘাত করে মেরে ফেলে। পরে মাকে আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসি।’
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ওসি আবুল কালাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত ৯টায় মামলাটি থানায় নথিভুক্ত (রেকর্ড) হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কি না, তা জানতে আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করা হবে।