[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যু, স্তব্ধ বাবা; থামছে না দুই সন্তানের কান্না

প্রকাশঃ
অ+ অ-

দুই সন্তানকে কোলে এবং পাশে নিয়ে বসে আছেন বাবা আবদুল হান্নান। আজ সোমবার | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

ছোট্ট ফারদিনের (৬) চোখ–মুখে আতঙ্ক। বাবার দিকে তাকিয়ে সে মাঝেমধ্যে কেঁদে উঠছে। ফারদিনের ছোট ভাই ফকরুল (৫) বাবার হাত ধরে আছে। মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা থেকে শিশু দুটি রক্ষা পেয়েছে। তবে তাঁদের মা খয়মন বেগম (৩২) ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।

নিহত খয়মন বেগম রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার চেউখালী গ্রামের আবদুল হান্নানের (৪০) স্ত্রী। গতকাল রোববার সকালে উপজেলার হামিরকুৎসা-তাহেরপুর সড়কের রামরামায় ট্রাক ও ব্যাটারিচালিত ভ্যানের সংঘর্ষে খয়মন বেগমসহ দুজন নিহত হন। ভ্যান থেকে ছিটকে প্রাণে বেঁচে যান তাঁর দুই ছেলে ফারদিন ও ফকরুল।

গতকাল সন্ধ্যায় চেউখালী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ইটের একটি ঘরের কক্ষে বাবা আবদুল হান্নান দুই সন্তানকে কোলে এবং পাশে নিয়ে বসে আছেন। তিনি সন্তানদের দিকে তাকিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে উঠছেন। বাবার কান্না দেখে ফারদিনও মাঝেমধ্যে কেঁদে উঠছে। নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেও পারছেন না হান্নান। স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে তিনি নিশ্চুপ।

স্বজনেরা জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু ফারদিনের সামনে তার মা মারা যায়। ফারদিনের শরীরে আঘাত লাগেনি; তবে মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছে। ফকরুল সামান্য আঘাত পেয়েছে। খয়মন বেগম অসুস্থ বাবাকে দেখতে পাশের পুঠিয়া উপজেলার পঁচা মাড়িয়া গ্রামে গিয়েছিলেন; সঙ্গে ছিল তাঁর দুই ছেলে। সেখান থেকে তাঁরা ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। আসার পথে ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয় একটি ট্রাক।

আজ সোমবার সকালে আবারও ওই বাড়িতে গেলে নিস্তব্ধতা লক্ষ করা যায়। স্ত্রীর হঠাৎ মৃত্যু মানতে পারছেন না আবদুল হান্নান। তিনি কারও সঙ্গে কোনো কথা বলছেন না। ছোট্ট ফকরুল হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে শুয়ে আছে। কেউ কাছে গেলে তার দিকে টলটলে চোখে তাকিয়ে থাকে। দাদি ডালিম বেগম বলেন, ‘সারা রাত দুই ছাওয়াল মায়ের জন্য কান্নাকাটি করচে, থামাবের পারিনি। এখন কীভাবে সান্ত্বনা দিমু।’ 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন