[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

নাটোরে প্রবাসীর বাড়িতে বিএনপি কর্মীদের মব তৈরি করে চাঁদাবাজির অভিযোগ

প্রকাশঃ
অ+ অ-

মব জাস্টিস | প্রতীকী ছবি

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় এক প্রবাসীর বাসায় ঢুকে ‘মব’ তৈরি করে তিন লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। গত শনিবার উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটলেও বুধবার রাতে থানায় মামলা হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বড়াইগ্রাম থানার ওসি সারোয়ার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ১১ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা করেন। তবে তাঁদের কোনো পদপদবি নেই।

বড়াইগ্রাম থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী ছেলেমেয়ের পড়ালেখার প্রয়োজনে উপজেলা সদরের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির কয়েকজন কর্মী জোর করে তাঁর বাসায় ঢোকেন। তাঁরা ওই নারীর এক আত্মীয়কে বেঁধে তাঁর সঙ্গে প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। একপর্যায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরে তাঁরা ওই নারীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এরপরও ভুক্তভোগী নারী টাকা দিতে রাজি না হলে তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। নিরুপায় হয়ে তিনি তাঁর তিন ভরি স্বর্ণালংকার শহরের একটি জুয়েলারি দোকানে বন্ধক রেখে তিন লাখ টাকা দেন। বাকি সাত লাখ টাকা তিন দিনের মধ্যে পরিশোধ করবেন জানালে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বাসা থেকে চলে যান।

ওই ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনাটি জানালে তিনি আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ইউএনওর পরামর্শে ওই নারী গতকাল রাতে বড়াইগ্রাম থানায় গিয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আসামিরা হলেন রনি হোসেন (২৯), তাঁর স্ত্রী সুমাইয়া বেগম (২৪), বেলাল হোসেন (২৮), ইকবাল হোসেন (২৮), কামরুল ইসলাম (২৮)। তাঁদের সবার বাড়ি বনপাড়া পৌর এলাকার মধ্যে। মামলার পর তাঁরা আত্মগোপনে চলে যান।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, কিছু যুবক রীতিমতো ‘মব’ সৃষ্টি করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। বাধ্য হয়ে তিনি গয়না বন্ধক রেখে তিন লাখ টাকা দেন। আরও সাত লাখ টাকা চাইলে তিনি ইউএনও ও পুলিশকে জানান।

জানতে চাইলে বনপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান বলেন, ‘বিএনপিতে কোনো চাঁদাবাজের স্থান নাই। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যেকোনো আইনি পদক্ষেপ নিলে আমরা সহযোগিতা করব। অভিযুক্তরা নিজেদের বিএনপির কর্মী হিসেবে পরিচয় দেয়। তবে তাদের পদপদবি নাই।’

বড়াইগ্রাম থানার ওসি সারোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা চাঁদা আদায় করার জন্যই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি ও চাঁদাবাজির মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে রয়েছে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন