বুড়িগঙ্গা থেকে উদ্ধার চারটি লাশের পরিচয় মেলেনি, পড়ে আছে মর্গে
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর পৃথক স্থান থেকে নারী, শিশুসহ অজ্ঞাতনামা চারজনের লাশ উদ্ধারের এক দিন পরও তাঁদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। লাশগুলো বর্তমানে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা আছে।
এ ঘটনায় রোববার বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বুড়িগঙ্গা নদী থেকে নারী, শিশুসহ অজ্ঞাতনামা চারজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় পৃথক দুটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে। মামলা দুটি নৌ পুলিশ তদন্ত করবে।
নৌ
পুলিশের বরিশুর ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোক্তার হোসেন জানান, নিহত
ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্তে দেশের বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। পিবিআই
ও সিআইডির ফরেনসিক দল আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে।
স্যার
সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গ সূত্র জানায়, বিকেলে
চারটি লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাঁদের বিষয়ে কেউ খোঁজ নিতে
আসেনি।
গতকাল শনিবার দুপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগ কোল্ডস্টোরেজ এলাকার তীর থেকে ভাসমান অবস্থায় এক নারী ও এক ছেলেশিশুর লাশ উদ্ধার করে সদরঘাট নৌ থানা–পুলিশ। উদ্ধারকৃত নারীর বয়স আনুমানিক ৩০ বছর ও শিশুটির বয়স তিন থেকে চার বছর হবে বলে পুলিশের ধারণা। ওই নারীর গলায় কালো কাপড় প্যাঁচানো ছিল ও শিশুটির লাশও ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো ছিল। নারীর পরনে ছিল সালোয়ার–কামিজ।
একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কালিন্দী ইউনিয়নের মাদারীপুর ঘাট এলাকা থেকে আরও এক তরুণ ও এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে বরিশুর নৌ পুলিশ। তাঁদের হাত একসঙ্গে বাঁধা ছিল। তরুণের পরনে ছিল লাল রঙের চেক শার্ট ও ট্রাউজার। আর তরুণীর পরনে ছিল লাল রঙের সালোয়ার ও ছাই রঙের গেঞ্জি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন