অপহরণ থেকে বাঁচতে ৪ লাখ টাকা ও ১১ ভরি স্বর্ণসহ ব্যাগটি ছুড়ে ফেলেন তিনি
নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
![]() |
| শাহবাগ থানার পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করে তাঁদের হেফাজত থেকে খেলনা পিস্তল ও হাতকড়াসহ নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করে | ছবি: ডিএমপির সৌজন্যে |
রাজধানীর সচিবালয় মেট্রোস্টেশনের কাছে র্যাবের পোশাক পরা কিছু লোক রঞ্জন চন্দ্র সিংহকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের হাত থেকে বাঁচতে ৪ লাখ টাকা, ১১ ভরি স্বর্ণালংকার ভর্তি ব্যাগটি রাস্তায় ছুড়ে ফেলেন তিনি।
ঢাকা মেট্রপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম এক ডাকাতির ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এ কথা বলেন। ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের কার্যালয়ে আজ শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি গত সোমবারের ওই ঘটনা তুলে ধরেন।
শাহবাগ থানার পুলিশ ওই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মিন্টু হালদার (৪২), নাজমুল হাসান (৪০), নির্মল হালদার (৩৭), সালাউদ্দিন (৩৫), দেলোয়ার হোসেন সিকদার (৫৫), সৈয়দ শামীম হোসেন (৪৫), পবিত্র পাল (৩৮) ও বলরাম চন্দ্র পাল (৩৭)।
ডিসি মাসুদ আলম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সোমবার বেলা ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে রঞ্জন চন্দ্র সিংহ নামের জনৈক ব্যক্তি হেঁটে বাংলাদেশ সচিবালয় মেট্রোস্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে র্যাবের পোশাক পরা তিন-চার ব্যক্তি তাঁকে জোর করে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় রঞ্জন তাঁদের হাত থেকে বাঁচতে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারভর্তি ব্যাগ রাস্তায় ছুড়ে ফেলেন। তখন র্যাবের পোশাক পরিহিত লোকজন রঞ্জনকে ধাক্কা দিয়ে তাঁর ব্যাগটি রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ব্যাগে ছিল নগদ ৪ লাখ টাকা এবং প্রায় ১১ ভরি স্বর্ণালংকার। পরে এ ঘটনায় মামলা হয়।
এ ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে ডিসি মাসুদ আলম বলেন, শাহবাগ থানার একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে অভিযান চালায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে শাহবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ওই আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের হেফাজত থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত র্যাবের পোশাক, ব্যাজ, ক্যাপ, ১১টি মোবাইল ফোন, ২টি খেলনা পিস্তল, ২টি হাতকড়া উদ্ধার করা হয়।
রমনা জোনের ডিসি বলেন, র্যাব পরিচয়ে যাঁরা ডাকাতি করেছেন, তাঁরা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্য। তাঁরা রাজধানীর তাঁতীবাজার স্বর্ণপট্টি এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের অনুসরণ করে সুবিধাজনক স্থানে পথ রোধ করে র্যাব ও ডিবির পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করতেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন