পদ্মা ট্রিবিউন ডেস্ক
বগুড়ার শেরপুরের সুঘাট ইউনিয়নের চককল্যাণী গ্রামে পানির চাপে ধসে গেছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় | ছবি: সংগৃহীত |
বগুড়ার শেরপুরে পানির চাপে ধসে গেছে সুঘাট ইউনিয়নের চককল্যাণী গ্রামে কাটাখালী বাঁধ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টায় এই বাঁধ ধসে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যেই পানির চাপে ভেঙে পড়ে বাঁধের পাশে থাকা একাধিক গাছ।
স্থানীয় লোকজন জানান, ৫০ থেকে ৫৫ বছর আগে বাঙ্গালী নদীর দক্ষিণ পাশে এই বাঁধটি দেওয়া হয়। বাঁধের এক পাশে ফসলি জমি। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় চককল্যাণীসহ আশপাশের গ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাঁধের ওপর দিয়ে আশপাশের গ্রামের মানুষ চলাচল করতেন। বাঁধের দক্ষিণ পাশে ফসলি জমি যাতে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধ না হয়, এ জন্য মাঝখানে প্লাস্টিকের পাইপ দেওয়া ছিল। চলতি মাসে ভারী বৃষ্টির কারণে ফসলি জমি জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। এই পানি বাঁধের নিচে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে যাওয়ার সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধসে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে পানির চাপে প্রায় ৫০ ফুট বাঁধ বিলীন হয়ে যায়।
বগুড়ার শেরপুরের সুঘাট ইউনিয়নের চককল্যাণী গ্রামে পানির চাপে ধসে গেছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় | ছবি: সংগৃহীত |
চককল্যাণী গ্রামের পাঁচজন বাসিন্দা বলেন, এই বাঁধের কারণে বাঙ্গালী নদীর দক্ষিণ পাশ কৃষকদের দিয়ে চাষাবাদ করালে অনেক উপকারে আসত। বর্ষায় বাঙ্গালী নদীর পানি জমির ভেতরে প্রবেশ করতে পারত না।
চককল্যাণী গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, পানির চাপে ভেসে গেছে সড়কের পাশে লাগিয়ে রাখা বিভিন্ন ধরনের বড় বড় গাছ। বাঁধের দুই পাড়ে অন্তত পাঁচ বিঘা জমিতে ধস দেখা গেছে। এসব জমিতে চলতি মৌসুমের সবজি চাষ করা ছিল।
আবুল কাশেম নামের এক দোকানমালিক বলেন, বাঁধটির পাশেই ছিল তাঁর দোকান। দোকানের কিছু অংশ সরাতে পারলেও নিমেষের মধ্যে দোকানের মাটিসহ ধসে পড়ে। পানির স্রোতে ভেসে যায় দোকানটি।
স্থানীয় কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশাসন এই বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ না নিলে এলাকার কৃষকেরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়বেন।