প্রতিনিধি রাজশাহী
![]() |
তৌরিদ আল মাসুদ রনি | ছবি: সংগৃহীত |
রাজশাহীর যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা–কর্মীরা যুবলীগের এক নেতাকে ধরতে একটি ভবন ঘেরাও করেছিলেন। পরে খবর পেয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। তখন যুবদলের এক নেতাকে ফোন করে সেই যুবলীগ নেতা বললেন, তিনি অনেক দূরে। তাঁকে খুঁজে লাভ হবে না। এরপর অভিযান স্থগিত করা হয়।
যুবলীগের এই নেতার নাম তৌরিদ আল মাসুদ ওরফে রনি। তিনি রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিনই আত্মগোপনে চলে যান তিনি। জানা গেছে, এরই মধ্যে তিনি দেশত্যাগও করেছেন।
তৌরিদ আল মাসুদের অবস্থানের খবরে আজ বুধবার দুপুরে নগরের পদ্মা পারিজাত এলাকার একটি বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট ঘেরাও করেন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা–কর্মীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দলও ভবনটিতে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। এ সময় জেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার ওরফে ডিকোকে ফোন করেন ওই যুবলীগ নেতা। তিনি বলেন, ‘ডিকো ভাই, আপনারা এত কষ্ট করে অভিযান করছেন। আমি আপনাদের থেকে অনেক দূরে। আমাকে খুঁজে লাভ হবে না, পাবেন না। ঠিক সময়মতো আমি নিজেই আত্মসমর্পণ করব, ধরা দেব।’
এরপর এই দুই নেতার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়।
যুবলীগ নেতার এই ফোনের পর অভিযান শেষ হয়। নেতা–কর্মীরাও ভবনের সামনে থেকে চলে যান।
![]() |
যুবলীগের এক নেতাকে ধরতে ভবনটি ঘেরাও করেছিলেন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা–কর্মীরা। আজ বুধবার দুপুরে রাজশাহী নগরের পদ্মা পারিজাত এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদলের নেতা ফয়সাল সরকার বলেন, ‘এইমাত্র সে আমাকে ফোন করেছিল। যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা এখানে আছেন। বুঝতে পারলাম, এই বাড়িতে অভিযান হওয়ায় সে খুব কষ্ট পাচ্ছে।’
ঘটনার পর সন্ধ্যায় যুবলীগের নেতা তৌরিদ আল মাসুদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ হয়। তিনি জানান, সরকার পতনের তিন থেকে চার মাস পর তিনি দেশের বাইরে চলে গেছেন। তৌরিদ আল মাসুদ বলেন, ‘এরা কোনো দিন সামনে আসার সাহস পায়নি। এখন ফাঁকা মাঠে না জেনেশুনে অযথা একটি বাড়ি এভাবে ঘেরাও করেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ও নেতা এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন যেদিন বলবেন, সেদিনই দেশে ফিরব। যদি অন্যায় করে থাকি, সুশাসন ফিরলে শাস্তি হবে। অল্প সময়ের মধ্যেই সবার সঙ্গে দেখা হবে।’