সবুজ হোসেন নওগাঁ
![]() |
মালয়েশিয়ার নাগরিক নাজিয়া বিনতে শাহরুল হিজাম ও তাঁর স্বামী জামিল হোসেন। শুক্রবার দুপুরে তাদের বাসা থেকে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
দেশ আলাদা, ভাষা ভিন্ন, বড় হয়েছেন ভিন্ন সংস্কৃতিতে। তবু ভালোবাসার টানে সব পার্থক্য ভুলে এক হয়ে গেলেন মালয়েশিয়ার তরুণী নাজিয়া বিনতে শাহরুল হিজাম ও নওগাঁর জামিল হোসেন। তিন বছর প্রেমের পর গত শুক্রবার নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় নিজ বাড়িতে জাকজমকপূর্ণ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে তাদের।
তাদের এই বিয়ে নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভিনদেশি নববধূকে দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন স্থানীয়রা।
তারা প্রথম পরিচয় হয় মালয়েশিয়ার জহুরবারুর একটি শপিংমলে। জামিল হোসেন ওই এলাকায় ফার্নিচার দোকানে চাকরি করতেন। শপিংমলে কেনাকাটার সময় পরিচয় হয় নাজিয়ার সঙ্গে। সেই পরিচয় থেকে গড়ে ওঠে প্রেম। এরপর নাজিয়া তার পরিবারকে জামিল সম্পর্কে জানান। প্রথমে পরিবারের কিছুটা আপত্তি ছিল, কিন্তু পরে সম্মত হন। মালয়েশিয়াতেই তারা বিয়ে সম্পন্ন করেন। গত ৩০ জুন নাজিয়া বাংলাদেশে আসেন, আর ৪ জুলাই জামিলের গ্রামের নিজ বাড়িতে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এরপর ছুটি শেষে তারা মালয়েশিয়ায় ফিরে যাবেন।
জামিল হোসেন বলেন, '২০১৭ সালের শেষ দিকে মালয়েশিয়ায় যাই। সেখানে কাজের সূত্রে নাজিয়ার সঙ্গে পরিচয়। ধীরে ধীরে ভালোবাসায় পরিণত হয় সম্পর্ক।'
নাজিয়া বলেন, 'আমি জামিলকে অনেক ভালোবাসি। বাংলাদেশে এসে সবাই আমাকে মেয়ে হিসেবে গ্রহণ করেছে। এখানকার খাবার ও মানুষদের সঙ্গে মিশতে খুব সহজ হয়েছে।'
জামিলের মা হালিমা খাতুন বলেন, 'দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের ছেলে ও তার বউ দম্পতি অনেক ভালোভাবে মিলেমিশে চলেছে। এলাকার মানুষরাও তাদের দেখে খুশি।'
আজ বিকেল পাঁচটায় জামিল হোসেনের বাসায় গিয়ে দেখা গেছে, নববধূকে দেখতে উৎসুক লোকজন বাসার সামনে ভিড় করেছেন। একপর্যায়ে জামিল হোসেন তাঁর স্ত্রীকে বাসার মূল ফটকের সামনে নিয়ে আসেন। নববধূ নাজিয়া উপস্থিত লোকজনদের হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর এলাকার লোকজন নববধূ ও বরের সঙ্গে সেলফি তোলা শুরু করেন।